কুতুবদিয়া প্রতিনিধি: কুতুবদিয়ায় খেলা নিয়ে সৃষ্ট ঘটনায় ছোটভাইকে মারধর থেকে বাচাঁতে গিয়ে দুই বড়ভাই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
গত ১৪ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মধ্যম অমজাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, আলী আকবরের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (২৬) এবং গুরাবাসির ছেলে মোঃ ফোরকান (২৮)।
আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছে।
এই বিষয়ে আলী আকবর বলেন, মোঃ খোকনের (৩৫) ছেলে বাবু (৭) ও আমার ছেলে বাদশা (৭) খেলা করছিল। এক পর্যায়ে তাদের দুইজনের মধ্যে মারামারি হয়। এই মারামারিকে কেন্দ্র করে মোঃ খোকন আমার ছেলে বাদশাকে উপরে তুলে মাটিতে আছাড় মারে। এক পর্যায়ে গলা টিপে ধরলে বাদশাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায় জাহেদুল ইসলাম এবং ফোরকান। তারা এগিয়ে গেলে রশিদ আহমদের ছেলে মোঃ খোকন, প্রকাশ সাগর, কালা মিয়া, প্রকাশ নয়ন মনি, মেয়ে বেতারা বেগম মিলে দা-কিরিচ,লোহার রড ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে।
আঘাতে জাহেদুল ইসলামের মাথায় ৯ সেলাই এবং আমার বড়ভাই গুরাবাসীর ছেলে মোঃ ফোরকানকে মাথায় ৬ সেলাই করা হয়। এখন তারা মুমূর্ষু অবস্থায় মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার সময় আমার মেয়ে হুমায়রা বেগমকে ঘুষি মরে ১০ আনা ওজনের ৪০০০০ (চল্লিশ হাজার) টাকার স্বর্ণের চেইন নিয়ে ফেলে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুতুবদিয়া থানার ওসি মোঃ জালাল উদ্দীন জানান, বধুবার সকালে হাসপাতালে আহতদের খোঁজখবর নিয়েছেন। এ ব্যাপারে আলী আকবর বাদী হয়ে এজাহার দিয়েছেন। এটি মামলা রুজু করে দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
নির্বাহী সম্পাদক