Home » সিলেটে লাগামহীন অটোরিকশা চালকেরা, দেখার কেউ নেই

সিলেটে লাগামহীন অটোরিকশা চালকেরা, দেখার কেউ নেই

সিলেটে লকডাউনকে পুঁজি করে আবারও লাগামহীন হয়ে পড়ছে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। যেমনটি তারা করেছিলেন গত বছরের লকডাউন পরিস্থিতিতে।

সিলেটের কালিঘাট থেকে বাজার নিয়ে টিলাগড় আসতে রিজার্ভ ভাড়া চাইছিল ৫০০ টাকা প্রায় সব রাস্তায় এভাবে প্রতিদিন যাত্রীদের পকেট কাটছেন সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। কিন্তু তাদের লাগাম টেনে ধরার যেন কেউ নেই।

দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল থেকে সিএনজি অটোরিকশায় উঠেছেন মকসুদ হাসান নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা। যাবেন ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে। অটোরিকশা থেকে নেমে নায্য ভাড়া ৬০ টাকা দিতেই থেঁতে উঠেন চালক। তার দাবি ১ শ টাকা। ১ শ টাকা কেন জানতে চাইলে মকসুদ হাসানকে চালক বলেন, এত কথা বলতে পারবো না। ভাড়া ১ শ টাকাই। এসময় ওই ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, করোনাকালে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ৩ জন নিয়ে আসলে আপনি ১ শ টাকা করে ভাড়া নেওয়ার কথা। কিন্তু আপনি তো যাত্রী পাঁচজনই নিয়েছেন। তাই ভাড়া ১ শ টাকা নয়, ৬০ টাকা নেবেন আপনি। ১ শ টাকা নেওয়া অন্যায় হবে। এ কথা বলতেই মকসুদ হাসানের দিকে মারমুখো হয়ে পড়েন চালক। পরে মান-ইজ্জতের ভয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা ওই চালককে ১ শ টাকা দিয়ে চলে যেতে বাধ্য হন।

সিলেটসহ সারা দেশে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফা গণপরিবহন বন্ধসহ লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেটসহ সারা দেশে গণপরিবহনে যাত্রী ৫০% কম বহন এবং যাত্রীপ্রতি ৬০% ভাড়া বাড়ানোর নির্দেশও দেয় সরকার।

কিন্তু সরকারের সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সিলেটে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা সকল সড়কে যাত্রী কম না নিয়েই যাত্রীদের জিম্মি করে ৬০% বেশি ভাড়া আদায় করছেন। তাদের দাবি অনুযায়ী ভাড়া না দিলে অনেক সময় যাত্রীদের হেনস্তাও করছেন চালকরা। মান-ইজ্জতের ভয়ে চালকদের অন্যায় দাবি মেনে বাড়তি টাকা দিয়েই তাদের হাত থেকে যাত্রীরা রেহাই পাচ্ছেন।

সিলেটজুড়ে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের এমন হয়রানি আর নৈরাজ্যের প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন যাত্রীসাধারণ।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *