জাহেদ হোসেন: হোয়াইক্যং ইউপির ঝিমংখালীতে পাহাড়কাটার সময় মাটি চাপা পড়ে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বলে এলাকার একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
নিহত রোহিঙ্গা থাইংখালী হাকিমপাড়া ক্যাম্প-১৪, ব্লক-৭ এর বাসিন্দা। গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টায় কয়েকজন রোহিঙ্গা শ্রমিক নিয়ে ঝিমংখালী বিটের নিকটে ২টি ড্রামট্রাক(ডাম্পার) পাহাড়কাটার সময় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী পুলিশ কে খবর দিলে হোয়াইক্যং ফাড়ি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
পুলিশ ছুরতহাল রিপোর্ট শেষে মর্গে পাঠানোর পক্রিয়া চালাচ্ছে বলে জানান হোয়াইক্যং পুলিশ ফাড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তাএসআই মুজিবর। জানা যায়, ঝিমংখালী-নয়াপাড়ার যথাক্রমে হেলাল ও গফুরের মালিকানাধী ২টি ডাম্পার রাতে স্থানিয় বিট অফিস কে ম্যানেজ করে বিরামহীনভাবে পাহাড় ও টিলা কেটে আসছিল। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-২০১০ অনুযায়ী, পাহাড় কাটা আমলযোগ্য অপরাধ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি ছাড়া কোনও সরকারি, আধা-সরকারি, সায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তি পাহাড় কাটতে বা নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। যদি কেউ এটি অমান্য করে, তবে তাকে অথবা ওই প্রতিষ্ঠানকে দুই বছর কারাদণ্ড অথবা ২ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। ফের একই অপরাধ করলে, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১০ বছর কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ জরিমানা গুণতে হবে।
অন্যদিকে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-১৯৯৬ তে বলা হয়েছে, পাহাড় কাটা অথবা মোচনের জন্য পরিবেশ ছাড়পত্র অবশ্যই নিতে হবে। ২০০২ সালের ৯ মার্চ পরিবেশ অধিদফতর এই সম্পর্কিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। যেখানে বলা হয়েছে পাহাড় কর্তন ও মোচনের ক্ষেত্রে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা -১৯৫২ এবং ১৯৯৬ অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
আইনে পাহাড় কর্তন ও মোচনের জন্য কঠোর এই নির্দেশনা থাকলেও কক্সবাজার এলাকায় এটি মানা হচ্ছে না। স্থানীয়রা অভিযোগ,একটি অসাধুচক্র আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে কাটছে পাহাড়।
পাহাড় কাটা বন্ধে অব্যাহত নজরদারি, কঠোর এনফোর্সমেন্ট অভিযান, পরিবেশ আইনের শতভাগ প্রয়োগ অপরিহার্য বলে মত দিয়েছে স্বচেতন মহল।