সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা জামাত বিএনপির নেতৃত্বে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর পরিবারকে সম্পূর্ণ অনৈতিক ও জোর পূর্বকভাবে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এ খবরে মুক্তিযোদ্ধাসহ সচেতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে এ ঘটনার তদন্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলী শ্রীধরপুর গ্রামে মৃত জাকির মামুনের পুত্র। তার মুক্তিযোদ্ধার নং-০১৯১০০০৫০৫৭, লাল মুক্তিবার্তা নং- ৫০১০৯০০৫৭, বেসামরিক গেজেট নং-১৪০৬ ও ভারতীয় অগ্রাধিকার তালিকা নং-০৫০১০৮০।
এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা মো: ইন্তাজ আলী রোববার সকালে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে তিনি শ্রীধরপুর গ্রামের বিএনপি নেতা সোলেমান খান বাবুল, আজমল খান, মশাহিদ খান, আজাদ খান, আহমদ খান, জামাত নেতা দিলদার খান, মুজিবুর রহমান খান নাম উল্লেখ করেন।
শ্রীধরপুর গ্রামে প্রায় ৭০টি পরিবার নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত গঠিত। এই পঞ্চায়েতের মসজিদে কার্যকরি কমিটি সদস্য ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলী। গত ২৬শে মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলাম সারা দেশে যে নাশকতা ও দেশ বিরোধী কর্মকান্ড করেছে তাতে শ্রীধরপুর গ্রামের জামাত বিএনপির সমর্থকদের সাথে মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলীর কথা কাটাকাটি হলে তাকে সমাজচ্যুত করার হুমকি দেয়া হয়। এক পর্যায়ে তাকে মসজিদ কমিটি ও পঞ্চায়েত থেকে বাদ দিয়ে গ্রামের কারও সাথে চলাফেরা না করা এবং নিজের জায়গা দেখে আসা যাওয়ার নিদের্শ দেয় তারা। মূলত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলী ও তার পরিবারকে এক ঘরে করা হয়েছে। গত ২৮ মার্চ মসজিদ কমিটির সভাপতি আজাদ খান মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলীকে টেলিফোনে মসজিদ কমিটির সদস্য পদ এবং পঞ্চায়েত থেকে তাকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলীকে গ্রামে এক ঘরে করে রাখা হয়েছে এবং সমাজচ্যুত করার বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক ভাবে প্রচার করায় মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের মান সম্মান ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। পঞ্চায়েতের মুরব্বী তমছির আলীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে শ্রীধরপুর মসজিদের মোতাওয়াল্লি আজাদ খানের নিকট সমাজচ্যুতের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, নরেন্দ্র মোদির আগমনে মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলীর সাথে একটি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তিনি কোন সদোত্তর না দেয়ায় তাকে পঞ্চায়েত থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলী জানান, নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে তারা সমাজচ্যুত করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ট বিচার চাই এবং সকল মুক্তিযোদ্ধারা আমাকে সহায়তার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।