Home » অষ্টমঙ্গলায় বাপের বাড়ি এসেছেন নায়িকা শুভশ্রী

অষ্টমঙ্গলায় বাপের বাড়ি এসেছেন নায়িকা শুভশ্রী

ডেস্ক নিউজঃ  

লম্বা করে সিঁথিতে সিঁদুর। হাতে শাঁখা-পলা। হাতে-গলায় সোনার গয়না। দু’পাশে মা-বাবাকে রেখে বরের হাত ধরে হোটেলের করিডর দিয়ে হেঁটে যেতেই ক্যামেরা-মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বলে উঠল। অষ্টমঙ্গলায় বাপের বাড়ি এসেছেন নায়িকা শুভশ্রী ও পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে বর্ধমানের একটি হোটেলে সে উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার। সপ্তাহখানেক আগে, ১১ মে ওই দম্পতির বিয়ে হয়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই দম্পতি বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বাজেপ্রতাপপুরের বাড়িতে চলে আসেন। শুভশ্রীর মা বীণা গঙ্গোপাধ্যায় বাড়ির ছোট মেয়ের ‘ভালবাসার খাবার’ তৈরি করে রেখেছিলেন। আর জামাই-আদরে ছিল ইলিশ মাছ আর কচি পাঁঠার মাংস। বীণাদেবী কথায় কথায় বলেন, “জামাই বাবাজীবন ইলিশ মাছ খেতে খুবই ভালবাসে!” শুক্রবার সকাল থেকে নানা আচার উপাচারে মেতে ওঠেন বাংলা সিনেমা জগতের সদ্য দম্পতি। বাড়ির ভিতর অনুষ্ঠান তো বটেই, কাছের পুকুরপাড়ে উপাচার অনুষ্ঠানে তাঁদের যোগ দিতে দেখা যায়। দুপুর দেড়টা নাগাদ বউকে কোলে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে হাঁটতে থাকেন বর্ধমানের জামাই রাজ। পুকুরে গিয়ে ডোবানো থালা খুঁজেও বার করেন রাজ। ওই বাড়ি থেকে বেলা তিনটে নাগাদ হোটেলে ফিরে যান। রাত ৯টা নাগাদ আটপৌড়ে লাল বেনারসি পরে হোটেলের ঘর থেকে নীচে নামেন শুভশ্রী। পাশে রাজ। তাঁর পরনে ছিল নীল রঙের ব্লেজার। ঘণ্টাখানেক অনুষ্ঠান হলে থাকলেও বরের হাত ছাড়েননি নতুন বউ। এরই মধ্যে কলকাতা থেকে আসেন রাজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। দম্পতির সঙ্গে দেখা করেই রুদ্রনীল হোটেলের ঘরে চলে যান। আর নবদম্পতি অনুষ্ঠানে স্কুলের শিক্ষিকা থেকে পরিবার পরিজনদের সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলেন। কারও কারও সঙ্গে সেলফিও তোলেন। অনুষ্ঠান ঘরের এক দিকে ছিল ‘লাইভ কনসার্ট’। ওই ঘরের পাশের ঘরে ছিল খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। সেখানে চিজ ফিশ ফ্রাই, চিকেন বাটার মশালা, চিংড়ির মালাইকারি, পাবদার ঝাল, মশলা কুলচা, পাঁঠার মাংস, পোলাও-সহ মোট ২২ রকমের খাবার ছিল। এর সঙ্গে হুক্কা বার, ককটেল, মকটেলেরও ব্যবস্থা ছিল। মেয়ের বাবা দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “শুভশ্রীর আবদারে বাজির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। হোটেলের করিডর থেকেই বাজি পোড়ানো দেখেছে।” ওই ঘরের পাশের ঘরে ছিল খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। সেখানে চিজ ফিশ ফ্রাই, চিকেন বাটার মশালা, চিংড়ির মালাইকারি, পাবদার ঝাল, মশলা কুলচা, পাঁঠার মাংস, পোলাও-সহ মোট ২২ রকমের খাবার ছিল। এর সঙ্গে হুক্কা বার, ককটেল, মকটেলেরও ব্যবস্থা ছিল। মেয়ের বাবা দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “শুভশ্রীর আবদারে বাজির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। হোটেলের করিডর থেকেই বাজি পোড়ানো দেখেছে।”

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *