সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর সকাল ৯টায় শহিদ মিনার ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে অধ্যক্ষ, শিক্ষক পরিষদ ও কর্মচারী পরিষদ কর্তৃক পুষ্পস্তবক অর্পণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সকল বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ভার্চুয়াল আলোচনা সভা শুরু হয় সকাল সাড়ে দশটায়। শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোছাম্মৎ জেবিন আক্তারের সঞ্চালনায় আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সালেহ আহমদ। সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন মুরারিচাঁদ কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর পান্না রানী রায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোঃ শফিউল আলম, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব মোঃ তৌফিক এজদানী চৌধুরী, বিভিন্ন বিভাগের সম্মানিত বিভাগীয় প্রধান ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
ভার্চুয়াল সভায় ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জীবন কৃষ্ণ আচার্য্য। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ভার্চুয়াল এ আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় প্রফেসর মো. সালেহ আহমদ বলেন, ১৯৭৫ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত যে উন্নয়ন হয়েছে তার অধিকাংশই সম্পন্ন হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। সভাপতির বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভুত হয়ে দল-মত নির্বিশেষে কাজ করতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সক্ষম হব এবং যাঁদের আত্মত্যাগে আমরা আজ স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র পেয়েছি তাঁদের আত্মা শান্তি পাবে।
আলোচনা সভা শেষে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদগণের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মুরারিচাঁদ কলেজ ক্যাম্পাস বর্ণিল সাজে সজ্জিতকরণ ও আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
প্রতিনিধি