Home » প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের দায়ে ১৪ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের দায়ে ১৪ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের দায়ে ১৪ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেন, আসামিদের সবাইকে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া  বিষয়টি জানান। গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য আজকের দিন রাখেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ আসামিরা হলেন- মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, মো. মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ, মো. মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, মো. রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল, মো. তারেক, মো. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, মো. আনিসুল ইসলাম ও সারোয়ার হোসেন মিয়া, মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

এর মধ্যে আজিজুল হক, লোকমান, মো. ইউসুফ, শেখ মো. এনামুল হক, মোছাহেব হাসান- পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এ ছাড়া এই মামলায় মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় অন্য সাত আসামির সঙ্গে তারাও আদালতে হাজির ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) নেতাকর্মী বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। বোমা উদ্ধার হওয়ার পরদিন ওই স্থানেই শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল।

এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তিনটি মামলা হয়।

এরই মধ্যে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট বিচারিক আদালত হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় রায় দেন। রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত।

হত্যাচেষ্টা মামলায় আপিলের রায়ও হয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি ও ১৪ বছর দণ্ডিত দুই আসামির সাজাও বহাল রাখা হয়েছে। ১৪ বছর দণ্ডিত অপর এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

অপরদিকে হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের মামলায় ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর তৎকালীন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল কাহার আকন্দ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে আদালত মোট ৫০ সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

 

সূত্র:এনটিভি

 

 

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *