শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোর:
নির্বাচনী প্রচারণা আর কর্মীদের চাঙ্গা করতে সিলেট নগরীতে শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর ইফতার মাহফিল। রমজান মাসে কেবল ইফতার মাহফিলকে ঘিরেই অনেকটা সরগরম থাকে রাজনীতির মাঠ। সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দুয়ারে কড়া নাড়ছে। ঈদের পরেই ঘোষণা হতে পারে এ নির্বাচনের তফশিল। চলতি বছরের শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিতেও কমতি নেই বড় দলগুলোর নেতাদের। অনেকটা হিসেব নিকেশ করেই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। সেই হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দুটি নির্বাচনের আগেই ভোটার আর কর্মীদের কাছে পাওয়ার অন্যতম উপলক্ষ ইফতার মাহফিল।
প্রতিবছরই ঘটা করে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে থাকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। রাজনীতির মাঠের শীর্ষ দলদুটোর জেলা ও মহানগর শাখাগুলোর পাশাপাশি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে তাদের সহযোগী অঙ্গ সংগঠনগুলো। ইফতার রাজনীতির মাঠে নিজেদের জানান দিতে আয়োজনে থাকে জাতীয় পার্টিও।
দল আর সংগঠনের বাইরে এবার মূখর থাকবে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের ব্যক্তিগত আয়োজনের ইফতার মাহফিল। নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিতে আর ভোটারদের কাছে ভেড়াতে ইফতার মাহফিল তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের মাঠে থাকা পুরনো প্রার্থীদের পাশাপাশি নতুন প্রার্থীরাও আয়োজন করবেন ইফতার মাহফিলের। বিশেষ করে এরকম আয়োজনের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ওয়ার্ডকেন্দ্রিক নতুন প্রার্থীরা তাদের প্রার্থীতা জানান দিয়ে থাকেন।
তবে এ বছরের রমজান মাস জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সংসদীয় এলাকায় নিজেদের ইমেজ বৃদ্ধি, কর্মী কাছে টানা আর ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষনেই তাদের মনোযোগ বেশি থাকবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতোমধ্যেই নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় ইফতার মাহফিল আয়োজনের দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলেছেন।
সিলেটে রাজনৈতিক দল আর প্রার্থীদের কাছে এবারের ইফতার আয়োজন মূলত সিসিক আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই। তবে রাজনীতি আর ভোটের ইফতার মাহফিলেও থাকবে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির মেলবন্ধন, এ প্রত্যাশা সবার।
বার্তা বিভাগ প্রধান