রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজের প্রথম থেকেই ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ লেজেন্ডস। শেষ পর্যন্ত বদলায়নি সেই চিত্র। ধারাবাহিক ব্যর্থতায় টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে আসর শেষ হলো বাংলাদেশের সাবেকদের। বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা লেজন্ডস।
রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে পাঁচ ম্যাচ খেলে সবকটিতেই হারল বাংলাদেশ লেজেন্ডস। অস্ট্রেলিয়া না আসায় শুধু চার পয়েন্ট ঝুলিতে নিয়ে ফিরছেন সাবেকরা।
গতকাল সোমবার ভারতের রায়পুরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেটে ১৬০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো করেন দুই ওপেনার মেহরাব হোসেন অপি ও নাজিমউদ্দিন। দুজনে মিলে শুরুর জুটিতে তোলেন ২৯ রান। নয় রান করে মেহরাব ফিরলে ভাঙে ওই জুটি। যথারীতি এই ম্যাচেও উজ্জ্বল ছিলেন নাজিমউদ্দিন। তিনি খেলেন ৩২ রানের ইনিংস।
বাকিদের মধ্যে ২৪ বলে ৩৯ রান করেন আফতাব। ৩১ বলে ৩৬ রান করেন হান্নান সরকার। আর নয় বলে ১৯ রান করেন খালেদ মাসুদ পাইলট।
জবাব দিতে নেমে অ্যান্ড্রু পাটিক ও মর্নে ফন উইকের দারুণ ব্যাটিংয়ে চার বল হাতে রেখে জয় পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার মিলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৫৪ বল খেলে ৮২ রান করেন পাটিক। আর ৬২ বল খেলে ৬৯ রান করেন ফন উইক। পাটিক ও ফন উইকের এই জুটি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় জুটির রেকর্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ লেজেন্ডস : ২০ ওভারে ১৬০/৯ (নাজিমউদ্দিন ৩২, মেহরাব হোসেন ৯, আফতাব আহমেদ ৩৯, হান্নান সরকার ৩৬, খালেদ মাসুদ ১৯, মোহাম্মদ রফিক ৭, আব্দুর রাজ্জাক ০, মুশফিকুর রহমান ২, রাজিন সালেহ ৬, খালেদ মাহমুদ ১*, আলমগীর কবির ২*; গার্নেট ক্রুগার ৪-০-২৭-১, মাখায়া এনটিনি ৩-০-২৬-২, মন্ডে জন্ডেকি ২-০-১১-১, আলভিরো পিটারসেন ৪-০-৩৪-০, থান্ডি শাবালালা ৪-০-৩৩-২, জেন্ডার বি ব্রুইন ৩-০-২৮-১)।
দক্ষিণ আফ্রিকা লেজেন্ডস : ১৯.২ ওভারে ১৬১/০ (অ্যান্ড্রু পাটিক ৮২*, মর্নে ফন উইক ৬৯*; আব্দুর রাজ্জাক ৪-০-২২-০, রাজিন সালেহ ৩-০-৩৯-০, মোহাম্মদ রফিক ৪-০-২৯-০, আফতাব আহমেদ ৪-০-২৪-০, আলমগীর কবির ১-০-১৫-০, খালেদ মাহমুদ ৩.২-০-২৯-০)।
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা লেজেন্ডস ১০ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : অ্যান্ড্রু পাটিক।
প্রতিনিধি