চকরিয়া সংবাদদাতা:কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের হালকাকারায় সাংবাদিক একেএম বেলাল উদ্দিনের বসতবাড়িতে প্রকাশ্য দিবালোকে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত এজাহারটি ৭মার্চ’২১ইং মামলা হিসেবে রুজু করেছে। যার মামলা নং ০৮,জিআর ১০৩/২১। মামলায় ৪জনের নাম উল্লেখ কর অজ্ঞাত আরো ১০/১২জনকে দেখানো হয়েছে।
গত শুক্রবার (৫মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডস্থ হালকাকারা এলাকায় সাংবাদিক বেলাল উদ্দিনের পৈত্রিক বসতভিটায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনাটি ঘটেছে।
এজাহার নামীয় আসামীরা হলেন; একই এলাকার বাদশা মিয়া প্রকাশ টেক বাদশার ছেলে মহিউদ্দিন, তার পিতা বাদশা মিয়া প্রকাশ টেক বাদশা, ছেলে কামাল হোসেন, বাদশা মিয়া’র মেয়ে ফাতেমা ও তার দুই পুত্রবধূসহ ১০/১২ জন অজ্ঞাত আসামীকে।
মামলার আর্জি সূত্রে জানাগেছে, চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডস্থ হালকাকারা এলাকার মরহুম হাজি ফেরদৌস আহমদের মালিকানাধীন জায়গায় তার বড় ছেলে চকরিয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক একেএম বেলাল উদ্দিন বসতঘর নির্মাণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিপূর্ণ বসবাস করে আসছে। শুক্রবার দুপুরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পূর্বেই বসতঘরে পুরুষশূন্য অবস্থায় অভিযুক্ত আসামীলা প্রকাশ্যে দিবালোকে বসতভীটায় ঢুকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। হামলায় আহত হন সাংবাদিক বেলালের বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও পুত্র। বসতঘরের ঘেরা-বেড়া ভাংচুরের পাশাপাশি লুট করে নিয়ে যায় ১ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে থানা উপপরিদর্শক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল মজিদসহ কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, থানায় মামলা দায়েরের পর থেকেও তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ: তাঁর হাতেই বিষয়টি ইতিপূর্বে বিচারাধীন ছিল।
এদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দাসহ অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং সাংবাদিক পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবদুল মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এএম ওমর আলী, অর্থ সম্পাদক জহিরুল আলম সাগরসহ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়ে সাংবাদিক পরিবারের নিরাপত্তায় ঘটনাস্থলে কয়েকবার পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক বেলাল উদ্দিনের দায়েরকৃত অভিযোগটি গ্রহণ করে থানায় মামলা (নং ৮/১০৩) হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক