নিউজিল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলের নর্থ আইল্যান্ডে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এ ঘটনায় ওই অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ সমুদ্রের তীরবর্তী কিছু এলাকার লোকজনকে দ্রুত উঁচু ভূমিতে আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পে এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (এনইএমএ) সতর্ক করে বলেছে, নর্থ আইল্যান্ডের পূর্ব উপকূলের কিছু এলাকায় ক্ষতির আশঙ্কা রয়ে গেছে।
এনইএমএ টুইট করে বলেছে, কিছু নিচু অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছের শহর হচ্ছে গিসবোর্ন। সেখানকার জনসংখ্যা ৩৫ হাজার ৫০০। কেপ রানওয়ে থেকে তোলোগা বে উপকূলের লোকজনকে ওই এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ভূমিকম্পের প্রথম তরঙ্গ পূর্ব কেপ থেকে শুরু করে কেপ রানওয়ে ও তোলোগা অঞ্চলে স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ৩টা ৩৪ মিনিটে আঘাত হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেছেন, ‘আশা করি, প্রত্যেকে সেখানে ঠিক আছেন। বিশেষ করে ইস্ট কোস্ট উপকূলের লোকজন। তাঁরা ভূমিকম্পের সম্পূর্ণ ধাক্কা অনুভব করেছেন।’
নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডে সুনামির আশঙ্কা করা হলেও রাজধানী ওয়েলিংটন বা অন্য অঞ্চলে এ আশঙ্কা নেই। তবে দেশটির নাগরিক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের সমুদ্রের তীর বা সমুদ্র এলাকা এড়িয়ে চলতে বলেছে। কারণ, সেখানে অস্বাভাবিক ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে।
নিউজিল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৯৪ কিলোমিটার গভীরে।
নিউজিল্যান্ডের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ওয়েবসাইট জিওনেটে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ ভূমিকম্প টের পাওয়ার বিষয়টি জানান। ২৮২ জন একে তীব্র ভূমিকম্প হিসেবে উল্লেখ করেন। ৭৫ জন একে চরম মাত্রার ভূমিকম্প বলেন। অন্যরা হালকা অনুভূতির কথা জানান।
ভূমিকম্পের পরবর্তী ধাক্কা এখনো সেখানে অনুভূত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নির্বাহী সম্পাদক