পরনারী আসক্ত ইমরান আকন নামের এক ব্যক্তি অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে ফেলে চলে যান। পরে স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইমরানকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
অন্য এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে মিথ্যা কথা বলে বাসা থেকে বের হন ইমরান আকন। কয়েকদিন নিখোঁজ থাকার পর তার স্ত্রী পুলিশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পুলিশের অফিসিয়াল পেইজে অভিযোগ করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পরকীয়ায় আসক্ত ইমরানের অবস্থান শনাক্ত করে নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে লালবাগ থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী উপ-মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজের ইনবক্সে এক নারী মেসেজ পাঠান। লালবাগ থানার একটি ভাড়া বাসায় স্বামী মো. ইমরান আকন ও এক শিশু সন্তান নিয়ে থাকেন তিনি।’
ইমরানের স্ত্রী লিখেন, ‘তার স্বামী কয়েকদিন আগে কোনো এক কাজে বাইরে বেরিয়েছেন। তিনি এখনও বাসায় ফেরেননি। তার মোবাইলও বন্ধ পাচ্ছেন। প্রচণ্ড উৎকণ্ঠা নিয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি।’
বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ তাৎক্ষণিকভাবে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আশরাফ উদ্দিনকে বিষয়টি জানান। এতে ভুক্তভোগী নারীকে থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ শাহ আলম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে ইমরান আকনের অবস্থান শনাক্ত করেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রূপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে ইমরান আকনকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারীর স্বামী ঘনঘন তার অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন। উদ্ধারের পর ইমরাম আকন জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, তিনি অন্য এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। প্রেমিকার টানে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে ফেলে চলে যান তিনি। উদ্ধারের পর ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীর ইচ্ছায় লালবাগ থানা পুলিশ বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। ইমরান আকন বর্তমানে তার স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে রয়েছেন।’
প্রতিনিধি