অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। এ পরীক্ষা নেয়ার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে বলেও জানিয়েছেন ডিপিই মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম। আজ মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান।
আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা যায়নি। তবে নিয়োগ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কাজ এগিয়ে রেখেছি। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজও ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে পরীক্ষার বিষয়ে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরপরও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বসে নেই। নিয়োগ পরীক্ষার মত মহাযজ্ঞ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সব আয়োজন প্রায় সম্পন্ন। সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেই পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে।’
গত বছরের ২৪ নভেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা ছিল ডিপিইর। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। এ পরীক্ষার মাধ্যমে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার। এরমধ্যে প্রাক-প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৬৩০ জন রয়েছেন। নিয়োগের জন্য আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৫ হাজারের বেশি।
এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আদালতে রিট হয়েছে। এ কারণে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে চাকরি প্রত্যাশীরা সংশয়ে রয়েছেন। এ মামলার বিষয়ে ডিপিই মহাপরিচালক বলেন, ‘নিয়োগের বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি। সেজন্য পরীক্ষা আয়োজনে বাধা নেই। তবে রিট সংক্রান্ত নিউজ হয়েছে মিডিয়ায়।’ এ বিষয়ে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
প্রতিনিধি