শাহিন আহমেদ শ্রীমঙ্গল : শ্রীমঙ্গলের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র উদ্বোধনের প্রথম দিনেই ৫০ গুণ বেশি দামে বিক্রি হলো একটি বিশেষ জাতের চা। যদিও নিলাম বাজারে এই চায়ের মূল্য প্রতি কেজি ২২০ টাকা। কিন্তু সেই চা’ই বিক্রি হলো প্রতি কেজি ১১ হাজার টাকায়।
অতি উচ্চমূল্যে এই চা বিক্রি হওয়ায় ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয় নিলাম কেন্দ্রে। বিশেষ জাতের এই চায়ের গ্রেডের নাম ‘গোল্ডেন ব্রোকেন অরেঞ্জ পিকো’ বা ‘জিবিওপি’। এমএম ইস্পাহানি এর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।
সোমবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে আটটায় শ্রীমঙ্গল অকশন সেন্টারের নিলাম কেন্দ্রে সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন গ্রেডের চায়ের মধ্যে সর্বপ্রথম নিলাম ডাকা হয় ইস্পাহানির এই জিবিওপি গ্রেডের চায়ের।
‘বিট’ করে এই চায়ের দাম এক লাফে পৌঁছে যায় কেজি প্রতি ১০ হাজারে। এমএম ইস্পাহানি কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মির্জা সালমান ইস্পাহানি হাত উঁচু করে ১১ হাজার দাম হাঁকেন। এই মূল্যের উপর আর কোনো নিলাম ক্রেতা ডাক না দেওয়ায় কেজি প্রতি ১১ হাজারে কিনে নেয়ে এমএম ইস্পাহানি।
ইস্পাহানি কোম্পানির জেরিন চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. সেলিম রেজা সারাবাংলাকে জানান, একেকটি বস্তায় ৫৫ কেজি করে চা থাকে। ৫৫ কেজি বস্তার পুরো ১০ হাজার বস্তাই কিনে নিয়েছে ইস্পাহানি। তারাই এই চায়ের উৎপাদক এবং তারাই এই চায়ের ক্রেতা।
ইস্পাহানি কোম্পানির জেরিন চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. সেলিম রেজা সারাবাংলাকে আরও জানান, শ্রীমঙ্গলের অকশন হাউজের প্রথম অকশনে প্রথম ডাকটি হলো আমাদের কোম্পানির জিবিওপি গ্রেডের এই চা। চায়ের ইতিহাসের স্মৃতি হয়ে থাকতেই মূলত আমাদের চেয়ারম্যান স্যার এই দামে চা কিনে নিয়েছেন।
ইস্পাহানির ‘গোল্ডেন ব্রোকেন অরেঞ্জ পিকো’ বা ‘জিবিওপি’ গ্রেডের এই চায়ের ফ্লেভার (ঘ্রাণ)।