ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং গুম-খুন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি।
“ একই সঙ্গে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে তা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছে সংস্থাটি।” এতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ২০১২ সালে এ আইনের যে সংশোধনী নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনার ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বসে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল। সেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার সহযোগি এ সংস্থাটি উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশের ব্যাপক সমালোচনা করেছে।
“এর আগে বাংলাদেশ বিষয় নিয়ে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি এবং ২০১৩ সালের এপ্রিলে একই পর্যালোচনা করা হয়েছিল এই কাউন্সিলের পক্ষ থেকে।” সে হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানের মান উন্নয়ণে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি বলেই মনে করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। যদিওবা সংস্থাটির এ ধরনের প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এর আগে সব সময়ই প্রত্যাক্ষান করা হয়েছে এবং নিন্দাও প্রকাশ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের বিষয়ে উদ্বিগ্ন কমিটি।
এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে অভিযোগ তদন্ত ও পরিচালনায় একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইউনির্ভাসেল পিরিয়ডিক রিভিউর (ইউপিআর) প্রস্তুতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ঢাকা কার্যালয় থেকে সুপারিশটি পাঠানো হয়।
জেনেভায় ঐ অধিবেশনে সরকারি প্রতিবেদন, জাতিসংঘের স্থানীয় কার্যালয়ের প্রতিবেদন, স্বাধীন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও গ্রুপগুলোর প্রতিবেদন, জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান, আঞ্চলিক সংস্থা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের প্রতিবেদন এবং তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয়। সূত্র জানায়, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডা, গুম ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা অতিরিক্ত বল প্রয়োগের ঘটনা ঘটছে।“ কিন্তু সরকার এ বিষয়গুলো অপরাধ হিসেবে দেখছে না। ফলে মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
“ তাই জাতিসংঘ কমিটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-গুম অতিরিক্ত বল প্রয়োগের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে।”