জধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিনের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া সদরের গোপালপুরে জানাজা শেষে, দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল ৭টায় জানাজা শেষে গোপালপুর গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজায় অংশগ্রহণ করেন আনুশকা নুর আমিনের পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনসহ গ্রামবাসী। আনুশকার দাফন শেষে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন স্থানীয়রা। মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারীরা দাবি জানান, মেধাবী এই শিক্ষার্থীকে হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত ফারদিন ইফতেখার দিহানের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনার সাথে আরও কারোর সংশ্লিষ্টতা থেকে থাকলে তদন্তপূর্বক তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে এবং কোনো নরপিশাচ যাতে দুঃসাহস না দেখায়, সে জন্য সকল অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
আর আগে গতকাল আনুশকা নূর আমিনের মৃত্যুতে ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এই চিকিৎসক জানান
ধর্ষণের ফলে যৌন ও পায়ুপথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ওই ছাত্রীকে চেতনানাশক কোনো কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কি না সেজন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে একাধিক ব্যক্তি ছিল কি না, সেজন্য ডিএনএ নমুনা এবং ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব কেমিক্যাল পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার ইফতেখার এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জবানবন্দিতে দিহান দাবি করেন, ‘পারস্পরিক সম্মতিতেই’ শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় আনুশকার। তাকে আনোয়ার খান মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায় দিহান। সেখানে ভর্তির আগে আনুশকাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সূত্র:বিডি প্রতিদিন
প্রতিনিধি