অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়ল। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে সংক্রমিত আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় নতুন করে আরও এক হাজার সাতজন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৭ জনের। শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৯৭৮।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যু হলো ৭ হাজার ৭১৮ জনের। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ১৯ হাজার ৯০৫।
আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
টানা ছয় দিন পর আজ নতুন রোগীর সংখ্যা হাজার পার হলো। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে গতকাল বুধবার ৯৭৮ জন, মঙ্গলবার ৯৯১ জন, গত সোমবার ৯১০, গত রোববার ৮৩৫, গত শনিবার ৬৮৪ ও গত শুক্রবার ৯৯০ জন করোনাভাইরাসে নতুন করে সংক্রমিত হন।
অ্যান্টিজেনভিত্তিক পরীক্ষাসহ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ৩৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯৫৫ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্রমেই মহামারি আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার।
শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই মাসের শেষের দিক থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল।
এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। একপর্যায়ে দৈনিক রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত নেমেছিল।
মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দৈনিক নতুন রোগী শনাক্তের গড় দুই হাজার ছাড়ায়। অবশ্য কিছুদিন ধরে নতুন রোগী শনাক্ত দুই হাজারের কম। তিন সপ্তাহ ধরে পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, টিকা না আসা পর্যন্ত সংক্রমণ প্রতিরোধের মূল উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বিশেষ করে বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিত করা, কিছু সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার বিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
প্রতিনিধি