সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের হেতিমগঞ্জে ট্রাকের পেছনে মোইক্রোবাসের (নোহ) ধাক্কায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে নিহত বেড়ে ৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন- বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের বারইগ্রামের মৃত কুনু মিয়ার ছেলে রাজন আহমদ (২৭), একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে ও মাইকোবাস চালক সুনাম আহমদ (২৬) এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের রফিপুর গ্রামের মঞ্জু মিয়ার শিশু পুত্র হাসান আহমদ (৮)।
চারজনের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর দগ্ধ হওয়া এক শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। এ ঘটনায় আরও ৩জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদশীরা জানান, নিহত ওই শিশু দুর্ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী কলোনির বাসিন্দা। দুর্ঘটনার সময় নোহা গাড়ির সিল্ডিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে সৃষ্ট আগুন উড়ে গিয়ে ওই শিশুর উপর পড়ে। শিশুটি তখন ঘরের বাইরে ছিলো।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকার মোল্লাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পন্যবাহী একটি ট্রাকের পেছনে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস (নোহা) ধাক্কা দিলে নোহার সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই ৩জন যাত্রী নিহত হন। আহত হন আরো ৩জন যাত্রী। মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে পাশ্ববর্তী কলোনিতে গিয়ে পড়ে। এতে মারা যায় শিশু হাসান।
ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক আলাউদ্দিন মনির বলেন, ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। গিয়ে দেখা নোহা গাড়িটি জ্বলে ভস্মিভূত হয়ে গেছে এবং ট্রাকের পেছনদিকে আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিস আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভায়। তবে ফায়ার সার্ভিসের দল যাওয়ার আগেই তিনজনের প্রাণহানি ঘটে। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় এক শিশু। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তারা ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রতিনিধি