ডেস্ক নিউজ : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্রের কার্যক্রম সোমবার ১৪ মে ‘ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।
‘দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে যাওয়ায় চা বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তাদের দাবি, শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র চালু হলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সমৃদ্ধ হবে এ অঞ্চলের অর্থনীতি।’
দেশের ১শত ৬৪টি চা বাগানের মধ্যে ১’শ ৪৫টিই সিলেট বিভাগে।
ব্রিটিশ আমল থেকেই এ অঞ্চলের উৎপাদিত চা চট্টগ্রাম নিলাম কেন্দ্রে নিয়ে বিক্রি করা হয়।’ এতে চা পরিবহন খরচ হয় কয়েক কোটি টাকা। সেই সাথে যাতায়াত বিলম্বে নষ্ট হয় চা-পাতার গুণগত মান। সেকারণে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৮ই ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপন করে সরকার। আগামীকাল সোমবার কেন্দ্রটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে নিলাম কার্যক্রম। এই নিলামে চট্টগ্রামের ৭টি ও মৌলভীবাজারের ৫টি ব্রোকার অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।’
“চা বাগান মালিকরা বলেন, শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র চালু হওয়ায় এই এলাকার ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক সাশ্রয়ী হবে। এখানে উৎসবের মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।”
আমরা এখন দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল ভোগ করবো। শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র চালু হলে অর্থনৈতিকভাবে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল সমৃদ্ধ হবে।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ক্লোনান টি-এর পরিচালক সৈয়দ মনসুরুল হক বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবো। উৎকৃষ্ট মানের চা অর্থাৎ বাগান থেকে ১৫-২০ দিনের মধ্যে চা এবার টেবিলে চলে যাবে।
মৌলভীবাজারের চা বিশেষজ্ঞ আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ৭০-৭৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়। এটা চট্টগ্রাম পাঠাতে খরচ হয় প্রায় ৩-৪ কোটি টাকা। এই টাকা সাশ্রয় হবে।
‘বাগান মালিকদের দেয়া তথ্য মতে, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলের ১শত ৪৫টি চা বাগান থেকে প্রতিবছর অন্তত ৭ কোটি কেজি চা উৎপাদন হয়। সূত্র: সময় টিভি