সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের এক শিক্ষার্থী এবার বখাটের উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন। বারবার মোবাইলে ফোন দিয়ে অশ্লীল ভাষায় উত্ত্যক্ত করার কথা জানিয়ে এমসি কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দেন ওই শিক্ষার্থী।
পোস্টে লেখেন- আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমরা তিন বান্ধবী একাডেমিক কিছু দরকারে এমসি কলেজে যাই। ভেতরে ঢুকার আগে গেটে আমাদের নাম, ডিপার্টমেন্টের নাম ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে এন্ট্রি করে যাই। পরবর্তীতে বাসায় এলে অপরিচিত একটা নাম্বার থেকে ফোন আসে। প্রথমে আমি রিসিভ করিনি। পরে আবার নোংরা ভাষায় মেসেজ দেয় কিন্তু আমি রেসপন্স করিনি। পরে বিকাল ৪টার দিকে আবারও ফোন দিলে রিসিভ করে পরিচয় জিজ্ঞেস করলে কলদাতা বলেন- আপনার প্রিয়জন আমি।
নাম্বার কোথায় পেলেন জানতে চাইলে কলদাতা জানান- এমসি কলেজে তোমরা তিন বান্ধবী গিয়ে যে খাতায় নাম্বার দিয়েছিলে এ সময় আমি ওখানে ছিলাম। পরে আপত্তিকর আরও কথাবার্তা শুরু করলে ওই শিক্ষার্থী ফোন কেটে দেন।
শনিবার বিকালে এমসি কলেজের শিক্ষার্থীদের একটা গ্রুপে এই পোস্টটা করা হলে মুহূর্তের মধ্যেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে অনেকে নাম্বার নেয়ার বিষয়টাতে আপত্তি জানিয়ে এটা বন্ধ করার দাবি তুলেন।
এ ব্যাপারে এমসি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সে পড়া ওই শিক্ষার্থী জানান, কলেজে ঢোকার আগে আমরা যখন নাম ও নাম্বার এন্ট্রি করি, তখন সেখানে গার্ডসহ কয়েকজন ছিলেন। তাদের আমি চিনি না। এখান থেকেই কেউ একজন নাম্বার নিয়ে আমিসহ সঙ্গে থাকা আমার দুই বান্ধবীকে বিরক্ত করে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে।
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, আমরা তিনজন কখন কয়টার সময় একসঙ্গে কলেজে যাই, কখন খাতায় নাম্বার দেই সব ওই ব্যক্তি কী করে জানে?
তিনি জানান, কল দেয়া ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি স্বীকারও করেছে- এন্ট্রি খাতা থেকেই নাম্বার সংগ্রহ করেছিল সে।
এ ব্যাপারে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সালেহ আহমেদ জানান, বিষয়টা আমি শুনেছি। যদিও আমার শিক্ষার্থী বিষয়টি আমাকে জানায়নি। তবুও আমি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
কলেজে ঢোকার ক্ষেত্রে নাম্বার দেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, নাম্বার দেয়ার বিষয়টি বন্ধ করে দেয়া হবে। কলেজে ঢুকতে কোনো শিক্ষার্থীকে আর নাম্বার দিতে হবে না। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে প্যান্ডামিক পরিস্থিতি চলাকালীন সবাইকে পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
প্রতিনিধি