Home » ভুয়া নবাব আলী হাসান আসকারীর প্রতারণার জাল থেকে রক্ষা পেয়েছেন সিলেটের অনেক ব্যবসায়ী

ভুয়া নবাব আলী হাসান আসকারীর প্রতারণার জাল থেকে রক্ষা পেয়েছেন সিলেটের অনেক ব্যবসায়ী

নবাব সলিমুল্লাহর নাতি পরিচয় দানকারী কথিত ভুয়া নবাব আলী হাসান আসকারী গত ১৬ অক্টোবর সিলেটে আসেন।কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্র জানা যায় সিলেটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আতাউল্লাহ শাকেরের ঢাকার এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় প্রতারক আসকারীর সাথে, তাই আসকারী আতাউল্লা শাকেরকে পেয়ে মনে করে সিলেটের ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতারণার একটা বিরাট সুযোগ কাজে লাগানো যেতে পারে। সাংবাদিক শাহ দিদার আলম নবেলের সাথে আলাপ করে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর ব্যবসায়ী আতাউল্লাহ শাকেরের দাওয়াতে শাহ দিদার আলম নবেল, সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ,সিলেটের ব্যবসায়ী জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার রাতের খাবারে হোটেল স্টার প্যাসিফিকে উপস্থিত হন যা নিম্নের ছবিতে প্রতিওমান। আরেক ছবিতে দেখা যাচ্ছে পরের দিন ব্যবসায়ী শাকের কাউন্সিলর আজাদ  এবং  প্রতারক আসকারীসহ বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিহত রায়হানের বাসায়, প্রতারক আসকারী কিছু লোকের মন জয়ের জন্য রায়হানের বাচ্চাকে আদর করতে দেখা যায়।  এখনো পরিস্কার না যে আসকারীকে আতাউল্লা শাকের কেনইবা সিলেট নিয়ে এসেছিলেন।

এদিকে আতাউল্লা  শাকের জানান তিনি সহ কেউ জানতেন না আসকারী একটা লম্পট বাটপার। তবে বলা যায় তাঁদের ভাগ্য ভাল এই নবাব সলিমুল্লাহর ভুয়া নাতি পরিচিয় দানকারী আসকারী সিলেট থেকে ঢাকায় যাওয়ার পরের দিনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জালে ধরা পড়েন।  তদন্ত সংশ্লিষ্টরা এখন পর্যন্ত আসকারী একাধিক নাম ব্যবহার করে প্রতারণার তথ্য পেয়েছেন। সারা দেশে হাজারখানেক ভুক্তভোগীরও সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে ঠিক কত মানুষ তার প্রতারণার শিকার এবং তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তার সঠিক হিসাব এখনো মেলেনি। প্রতারণার টাকা কোথায় রেখেছে সেই বিষয়টা এখনো অজানা।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আলী হাসান আসকারী প্রতারণার মাধ্যমে কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এবং সেগুলো কোথায় রেখেছেন সেটি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তারা। ধারণা করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে কিছু টাকা গচ্ছিত আছে। এর বাইরে আরো দু’টি জায়গায় টাকা আছে- এমন তথ্যও মিলেছে।
শিগগিরই ওই দুই স্থানে অভিযান চালিয়ে টাকা উদ্ধার করা হতে পারে। এ ছাড়া ব্যাংকের হিসাবের তথ্যের জন্য আদালতের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংককে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠির মাধ্যমে ভুয়া নবাব আলী হাসান আসকারীর  দেশের কোন কোন ব্যাংকে কতটি অ্যাকাউন্ট আছে, সেগুলোতে কি পরিমাণ টাকা জমা আছে সেই তথ্য চাওয়া হয়েছে।
সিটিটিসি’র তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পাহাড় সমান অভিযোগ জমা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে। এখন পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় চারটি ও ঢাকার বাইরে দুইটি। আলী হাসানের প্রকৃত পরিচয়ের বিষয়ে সিটিটিসি’র কর্মকর্তারা বলেন, আলী হাসানের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। কারণ এই প্রতারকের নতুন নতুন নাম বের হচ্ছে। কোন নামটি তার আসল নাম সেটি বের করা যাচ্ছে না।

সূত্রঃ বাংলাভাষী ডট কম

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *