সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে মৃত্যু হওয়া রায়হান উদ্দিনের প্রথম দফার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়েছে। রিপোর্টে রায়হানের শরীরে ১১৩টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাঠির আঘাতের কারণে চামড়া ছিলে যাওয়া ১৪টি যখম পাওয়া যায়।তার দুটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলাসহ পুরো শরীরে শুধু লাঠির আঘাত রয়েছে ১১১টি। নির্যাতনের সময় রায়হানের পাকস্থলিও খালি ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, রায়হানের শরীরে ১১৩টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এরমধ্যে শরীরের রয়েছে ১১১টি ও দুটি হাতের নখ উপড়ানো সহ মোট ১১৩টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
একের পর এক লাঠির আঘাতের কারণেই রায়হানের পুরো শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিঠি আঘাত ছিল খুবই গুরুতর। অতিরিক্ত আঘাতের কারণে রায়হানের হৃদযন্ত্র রক্ত পায়নি। সেইজন্য তার মৃত্যু হয়। লাঠির আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারায়। আঘাতের সময় রায়হানের পাকস্থলি একেবারেই খালি ছিল। সেখানে ছিল শুধু এসিডিটি লিকুইড।