শীঘ্রই চালু হচ্ছে শিক্ষা টিভি। বৈশ্বিক মহামারী করোনায় পিছিয়েছিল শিক্ষা টিভির কার্যক্রম। ২০১৯ সালের প্রস্তাব বাস্তবায়নে দেরী হওয়ার মূল কারন কোভিড-১৯(করোনা)। “শিক্ষা টিভি” র কার্যক্রম সম্পর্কে বলতে গিয়ে শিক্ষা টিভির প্রস্তাবক ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো.মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান,২০১৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে জেলা প্রশাসকবৃন্দের কনফারেন্সে শিক্ষা টিভির প্রস্তাব দেই আমি।
এবং তা সাদরে গৃহীত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শিক্ষা টিভির প্রস্তাবনাকে গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করার জন্য মন্ত্রী পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও প্রস্তাবটির দ্রুত বাস্তবায়নে আন্তরিক হয়। কিন্তু বাধ সাজে কোভিড-১৯ মহামারি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়ার পরও করোনার কারনে পিছিয়ে আছে শিক্ষা টিভি কার্যক্রম। দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। এ অবস্থায় শিক্ষা টিভির প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে তা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তাই একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস’র নেতৃত্বে সচিব পর্যায়ের কমিটি সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন’র মহাপরিচালক এসএম হারুন অর রশিদ কে আহবায়ক করে মাউশি,প্রাথমিক, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষার ডিজি মহোদয়দের সদস্য করা হয়েছে। কমিটি সব কিছু যাচাই বাছাই করে সংসদ টিভি ও রেডিওতে পাঠদান কার্যক্রমের সাথে অন্যন্য অনুষ্ঠান থাকায় স্থায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে শিক্ষা টিভির কার্যক্রম চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ ব্যাপারে শিক্ষা টিভির প্রস্তাবক ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান,শিক্ষা টিভি চালু হলে সকল শিক্ষার্থীরা এর সুফল পাবে এবং তাদের ঘরেবন্দী পড়াশোনা অনেক ফলপ্রসূ হবে। শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সময়ে পড়ালেখায় নিজেদের জড়িত করতে পারবে। সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের দ্রত বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক। শিক্ষাবার্তা ডটকম
প্রতিনিধি