সুশান্ত মামলায়, মাদককাণ্ড নিয়ে হইচই চলছে। বিশেষ করে, সম্প্রতি ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জিজ্ঞাসাবাদে রিয়া চক্রবর্তী, সারা আলি খানের নাম নিয়েছে বলে খবর প্রকাশের পর এই মামলা নতুন মোড় নিয়েছে। তবে সুশান্তের গাড়ির প্রাক্তন চালক ধীরেন্দ্র যাদবের মন্তব্যে উঠে এসেছে বেশকিছু তথ্য।
গাড়ির চালক ধীরেন্দ্র যাদবের কথায়, ‘আমি ২০১৮ র অক্টোবর থেকে ২০১৯-এর এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করেছি। সুশান্ত স্যারের সঙ্গে সারা আলি খানের ভীষণ ভালো বন্ধুত্ব ছিল। উনারা কেদরনাথের প্রচারে একসঙ্গে বিগবস ও অন্যান্য জায়গায় একই গাড়িতে যেতেন, তবে সারা কোনওদিনই স্যারের বাড়িতে আসেননি।’
এর আগে, সুশান্তের বন্ধু স্যামুয়েল হাওকিপ জানিয়েছিলেন, ”সুশান্ত এবং সারা একে অপরের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিল এবং তাঁরা কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে থাইল্যান্ড বেড়াতে গিয়েছিলেন।” সুশান্তের গাড়ির প্রাক্তন চালকের কথায়, থাইল্যান্ডের ট্রিপ থেকে ফিরে আসার প্রায় ১০দিন পর থেকে সারা ও সুশান্তের যোগাযোগ ছিল না। খুব সম্ভবত তখন ‘সোন চিড়িয়া’ মুক্তি পেয়েছিল। যদিও তিনি বলেন, সারা-সুশান্ত যখন বেড়াতে গিয়েছিলেন সেসময়য় তিনি ছুটিতে ছিলেন। তাঁরা ফেরার পরই আবারও কাজে যোগ দেন।
মাদক প্রসঙ্গে সুশান্ত-সারার বিষয়ে গাড়ির চালক বলেন, ‘আমি কখনও উনাদের মাদক নিতে দেখিনি। উনি (সুশান্ত) শৃঙ্খলার মধ্যে চলতেন। আমি বহুদিন ওনার সঙ্গে খাবার দুপুরের খাবার, রাতের খাবার খেয়েছি। মাদক নিতে বা অবসাদে থাকতে দেখিনি। উনি ক্রিকেট খেলতেন, সাঁতার কাটতেন, টেনিস খেলতেন। স্যারের সঙ্গে ওনার পরিবারের সম্পর্কও বেশ ভালো ছিল। আমি কাজ ছাড়ার পর রিয়া উনার জীবনে আসেন।”
প্রসঙ্গত, সুশান্তের গাড়ির চালক ধীরেন্দ্র যাদবকে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। পাশাপাশি সুশান্তের ফিটনেস ট্রেনার সামি আহমেদকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। জিনিউজ
প্রতিনিধি