শিওরক্যাশ এজেন্টদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছেন কানাইঘাট, জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার আওতাধীন রূপালী ব্যাংকের শিওরক্যাশ এর ডিস্ট্রিবিউটর সাহেদ আহমদ চৌধুরী। এ অভিযোগে শিওরক্যাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা গতকাল শুক্রবার বিকেলে কানাইঘাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে শিওরক্যাশ এজেন্ট আব্দুল কাহির বলেন, গত পহেলা জুলাই হতে বিভিন্ন সময়ে জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলশার গ্রামের মারুফ আহমদ চৌধুরীর পুত্র বিয়ানীবাজারস্থ এম.এস কালার্স প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটর শিওরক্যাশ এর তিন উপজেলার ডিস্ট্রিবিউটর সাহেদ আহমদ চৌধুরী কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন বাজারের শিওরক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের কাছ থেকে বিটুবি করে বিভিন্ন তারিখে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা রয়েছেন। অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তার একাউন্টের ব্যাংকের চেক দিয়ে নগদ ও বিটুবি করে টাকা নেয়। শিওরক্যাশ এর এজেন্টদের লক্ষ লক্ষ টাকা সাহেদ চৌধুরী কর্তৃক হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় শিওরক্যাশ এজেন্টরা প্রাথমিক পড়ুয়া উপজেলার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি এবং করোনাকালীন সরকারের বিভিন্ন অনুদানের টাকা গ্রাহকদের দিতে পারছেন না। যার কারণে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, তাদের শিওরক্যাশ এজেন্টদের টাকা সাহেদ চৌধুরী হাতিয়ে নেওয়ার পর তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে গিয়ে তাকে খুঁজে পাচ্ছেন না, কোন ব্যবসায়ীর ফোনও ধরছেন না। প্রতিকার চেয়ে গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে কানাইঘাটের শিওরক্যাশ এজেন্টরা লিখিত
দরখাস্ত দিয়েছেন। রূপালী ব্যাংকের শিওরক্যাশের কর্মকর্তাদের স্মরণাপন্ন হয়েও তারা কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় সাহেদ চৌধুরী কর্তৃক শিওরক্যাশ এজেন্টদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া টাকা উদ্ধার এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সুষ্ঠুভাবে শিওরক্যাশ এজেন্ট মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম সচল রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন শিওরক্যাশ এজেন্টরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিওরক্যাশ এজেন্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ ইয়াহিয়া, শিব্বির আহমদ, জাকারিয়া, সেলিম উদ্দিন, আব্দুস শহিদ, জিল্লুর রহমান, বদরুল ইসলাম, মাহমুদ হোসেন, হেলাল আহমদ, আলমাছ উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
প্রতিনিধি