বিদ্যুতের চাহিদার অনুপাতে সরবরাহের কোনো কমতি না থাকলেও লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ- ৪ এর আওতাধীন ১১ কেভি সিলেট কুমারগাঁও টু বাদাঘাট ফিডারে অবস্থিত কুমারগাঁও, মদিনা মার্কেট,আখালিয়া, পাঠানটুলা, ডলিয়া, মইয়ারচর,বাদাঘাট এলাকাসমূহে। বিগত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুতের বিড়ম্বনায় অতিষ্ঠ নগরবাসী ।
বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুতের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হলেও বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ-৪ এর কারিগরি অব্যবস্থাপনার কারনে মানুষ বিদ্যুতের সুফল থেকে বঞ্চিত।
কর্মকর্তারা সাথে আমাদের প্রতিনিধি মোবাইল ফোন আলাপন করলে তিনি বলেন যে মেঘ বৃষ্টির ও বজ্রপাতে লাইনে ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে।
এদিকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। একদিকে ভ্যাপসা গরম, অন্যদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সঙ্গে পানি সংকটে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে মানুষের মাঝে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং রোগীদের নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন অনেকে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুতর আসা-যাওয়ার খেলা চলছে সারা দিনরাত। ফলে ঘরে থাকা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্টের পাশাপাশি ফ্রিজে থাকা মাছ,মাংস,তরিতরকারি নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুতের এমন বিভ্রাটে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছে নগরবাসী।
কুমারগাঁও এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, কুমারগাঁও সংশ্লিষ্ট লাইনে বিদ্যুতের বিড়ম্বনা শহরের অন্যান্য লাইনের তুলনায় সবচেয়ে বেশী। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসের নাম্বারে যোগাযোগ করলে কেউ ফোনটি রিসিভ করেনি।
এ ছাড়াও দিনের বেলাও কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুতের দেখা মিলছে না। বিদ্যুত না থাকার পাশাপাশি ভ্যাপসা গরমে চরম অতিষ্ঠ মানুষ ও প্রাণিকূল। অফিস, শপিংমল চলাকালীন সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সমস্যাটা আরো বেশি প্রকট হয়ে ওঠে।
এসব এলাকার লোকজনকে প্রায়ই বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। দ্রুত এ পরিস্থিতির সমাধান না হলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনে নামবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।