সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৩নং অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল ইসলাম রুহেলের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল ৩ঘটিকায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, জালিয়াতি, খুন, বিচারের নামে টাকা আত্মসাৎ, প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের উর্ধ্বতন মহলের বিরুদ্ধে কটুক্তি, ইউনিয়নের সরকারী বরাদ্ধ তছনছ, আত্মসাৎ, উপজেলা পরিষদ পুড়ানো, সরকারী নিদের্শ অমান্য, নাশকতামূলক কর্মকান্ড সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার বিষয়ে ৪৩পৃষ্টা সম্বলিত লিখিত একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিটি বিষয়ে তথ্য উপাত্য যাচাই বাছাই করে স্বাক্ষীদের বিভিন্ন ভাবে যেরা করেন। অভিযোগে ৩টি খুনের মামলাসহ ১২টি মামলার কথা লিখিত জবাবে উল্লেখ্য করা হয়।
এরমধ্যে ৪টি মামলার চার্জশীট দাখিল পূর্বক আদালতে বিচারাধীন এবং ২টি মামলা বিশ্বনাথ থানা পুলিশের নিকট তদন্তাধীন রয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সিতার মিয়া স্বাক্ষীতে বলেন, নাজমুল ইসলাম রুহেল চেয়ারম্যান হওয়ার আগে পরে একজন চরম সন্ত্রাসী ছিলেন। তিনি হাতেনাতে গাঁজা সহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। বিএনপির আমলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নামে সাজানো মামলা দিয়ে ঘরবাড়ী ছাড়া করেছিলেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয়করণের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের দুস্থকর্মীদের ত্রান সামগ্রী ও সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করেছেন। তিনি একজন শিক্ষক ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা, পুরুষ, গ্রামপুলিশ, পরিষদের উদ্যোক্তা কে নিজ হাতে মারপিট করে সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানী করেছেন। তার বিরুদ্ধে ১১জন সদস্য অভিযোগ দায়ের করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বড়খুরমা গ্রামের প্রবীণ মুরব্বী ও আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা আহমদ আলী করোনাকলিন সময়ে ত্রানের তালিকায় তার নাম অর্ন্তভুক্তি করার সময়ে চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল তাকে অপমান করেন এবং একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ্য করে কটুক্তি করেন।
বটতলা গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা রুকন মিয়াজী তার স্বাক্ষীতে বলেন, নাজমুল ইসলাম রুহেল একজন প্রতারক, জালিয়াতকারী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক হয়। যুক্তরাজ্য প্রবাসী হারুন মিয়া উরফে ইরন মিয়া চাঁদা না দেয়ায় পনাউল্লা বাজারের ২২নং দোকান ঘরটি জাল দলিল সৃষ্টি করলে মামলা দায়েরের পর আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়। রুহেল নিজেকে এই বাজারের সভাপতি, সেক্রেটারী হিসেবে চেয়ারম্যান হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আরেকটি জাল দলিল সৃষ্টি করলে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করি।
বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। বিএনপির শাসনামলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা রুহেলের দ্বারা নির্যাতিত হলেও প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা রহস্যজনক ভাবে তাকে রক্ষার চেষ্টা তদবির করছেন। ইউনিয়ন পরিষদের ৩ ও ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য সাইদুর রহমান ও আলতাব আলী জানান, আমরা আমাদের লিখিত বক্তব্য দাখিল করেছি। আশা করছি তদন্তকারী কর্মকর্তা জরুরী ভিত্তিতে রির্পোট দিবেন এবং তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।