Home » ইউএনওর ওপর হামলাকারীরা পিপিই ও মাস্ক পরা ছিল

ইউএনওর ওপর হামলাকারীরা পিপিই ও মাস্ক পরা ছিল

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম (৩৫) ও তার বাবা ওমর আলীকে কুপিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনায় দুজন জড়িত। এর মধ্যে একজন পিপিই পরা ছিল, অন্যজন কালো পোশাক ও কালো মাস্ক পরা ছিল।

বৃহস্পতিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞা। তিনি বলেন, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুজন। একজন ভেতরে ছিল অন্যজন বাইরে। এর মধ্যে একজন পিপিই পরা ছিল, অন্যজন কালো পোশাক ও কালো মাস্ক পরা ছিল।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ইউএনওর কক্ষের সিসিটিভি ফুটেজে দুজনকে দেখতে পেয়েছি আমরা। এদের একজন পিপিই পরা ছিল, অন্যজন কালো পোশাক ও কালো মাস্ক পরা ছিল। এজন্য আমরা তাদের এখনও চিনতে পারিনি। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নৈশপ্রহরীকে আটক করা হয়েছে।

ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে কুপিয়ে গুরুতর জখমের সময় মুখোশ পরা ছিল হামলাকারীরা- এমন বর্ণনা দিয়েছেন ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখ (৬৫)। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রমেক) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন। ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুুুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হয়েছে।

ওমর আলী শেখ বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ৩টা-সাড়ে ৩টার দিকে তাহাজ্জুদ নামাজ পরে কেবল শুয়েছিলাম। ঘুম ঘুম লাগছিল। এমন সময় মেয়ের চিৎকার শুনে ওপর তলায় যাই। মেয়ে তখন আমাকে ডাকছিল আর বলছিল, ঘরে কেউ ঢুকেছে বাবা, দ্রুত আসো। আমি ওপর তলায় গিয়ে দেখি মুখোশধারী এক ব্যক্তি মেয়ের কাছে চাবি চাচ্ছিল। টাকা-পয়সা ও গহনা কোথায় তা জানতে চাচ্ছিল বারবার। তথ্য না দিলে আমার নাতিকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছিল ওই ব্যক্তি। একপর্যায়ে আমি তাকে ধরে ফেলি। এ সময় তার সঙ্গে আমার ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তখন হাতুড়ি দিয়ে আমার ঘাড়ে আঘাত করলে মেঝেতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যাই। এরপর কি হয়েছে আমি বলতে পারি না।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে ঘটনার তদন্ত করছি আমরা। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

এ বিষয়ে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব বলেন, এখনও হামলার কারণ জানা যায়নি। ইউএনওকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি আমরা। তদন্ত শেষে জানা যাবে কারা এ হামলা করেছে এবং ঘটনায় কয়জন জড়িত।

সূত্র: জাগোনিউজ

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *