কক্সবাজার সদর মডেল থানা সংলগ্ন সড়কেই সন্তান প্রসব করেছেন ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ এক তরুণী। মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে সন্তান প্রসবের এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৫-২৬ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছিলেন। কিন্তু কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। এক পর্যায়ে সন্তান প্রসব হলে আশেপাশের লোকজন থানায় খবর দেয়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে সদর মডেল থানার পুলিশ। কিন্তু প্রসূতি ও বাচ্চাটি ধরতে কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সদর থানার গাড়ি চালক কনস্টেবল চন্দন আর্চায্য সৈকত অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিজ হাতে প্রসবকালীন সময়ে বাচ্চাটি হাতে তুলে প্রসূতি মায়ের সেবা দেন। পরে নবজাতকসহ মাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নারী নেত্রী নাজনীন সরোয়ার কাবেরী বলেন, মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ড নিয়ে ওসি প্রদীপ, লিয়াকতসহ কিছু পুলিশ সদস্যদের কর্মকাণ্ডে ইমেজ সংকটে পড়েছে বাহিনীটি। চারদিকে চলছে নানা সমালোচনা। এরই মাঝে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন প্রসূতির সেবাতেও কিন্তু এগিয়ে এলেন কনস্টেবল সৈকতসহ কিছু পুলিশ সদস্য। প্রজাতন্ত্রের সেবক পুলিশ বাহিনীতে এমন সদস্যরা আছেন বলেই, ওসি প্রদীপদের শত অপকর্মের মাঝেও আমরা স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ আগামীর।
সদর থানার ওসি খায়রুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়। সে সময় সহযোগিতার জন্য কোন নারীকে না পাওয়ায় পুলিশ সদস্যরা বিনা সংকোচে মা ও নবজাতককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
সূত্র: ইত্তেফাক
প্রতিনিধি