স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে দীর্ঘ একমাস পর নাটকীয়ভাবে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেলের বিরুদ্ধে মামলাটি রেকর্ড করেছে। বিশ্বনাথ থানার মামলা নং-০৭ তারিখ, ০৯/০৮/২০২০ইং ধারা ৪৬৭/৪৬৮/৪২০/৪৭১/৫০৬ দ: বি:। আজ রবিবার (৯ আগষ্ট) বটতলা গ্রামের মৃত জহুর আলী মিয়াজির পুত্র রুকন মিয়াজি বাদি হয়ে ৭জনের বিরুদ্ধে বিশ^নাথ থানায় পূর্বের দাখিলকৃত অভিযোগটি পূণরায় দাখিল করলে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। অনেক রাই উৎরাই কাঠগড় পেরিয়ে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। গত ৫ আগষ্ট অলংকারি ইউনিয়ন বাসির পক্ষে বিভিন্ন গ্রামের লোকজন চেয়ারম্যান রুহেলের বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেন। এর মধ্যে থানা পুলিশের সাথে চেয়ারম্যান রুহেলের কি সম্পর্ক রয়েছে, যে কারনে মামলাটি রেকর্ড করা হয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছিল। এদিকে দোকানের মূল মালিক যুক্তরাজ্য প্রবাসি হারুন মিয়া তার দোকান জালিয়াতির মাধ্যমে রুহেল চেয়ারম্যান বিক্রি করছেন মর্মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। গত ৭ জুলাই রুকন মিয়াজি যখন থানায় অভিযোগ দাখিল করেন, তখন পুলিশ রুহেলের নাম অভিযোগ থেকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু বাদি আসল অভিযুক্ত রুহেলকে এজহার থেকে নাম বাদ না দেয়ায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়নি। তার পরও মামলাটি রেকর্ড করাতে গিয়ে বাদি পক্ষ অনেক হেনস্থার স্বীকার হতে হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানাযায়, বড়খুরমা গ্রামের মৃত আছলম আলীর পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসি হারুন মিয়া উরফে ইরন মিয়ার পনাউল্লা বাজারের ২২নং দোকান ঘরটি বিক্রি করা হয়েছে। নাজমুল ইসলাম রুহেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নিজে পনাউল্লা বাজার কমিটির সেক্রেটারি হয়ে সীল তৈরী করে দোকানটি নিজের নামে জাল দলিলের মাধ্যমে দখলের চেষ্টা করেন। এনিয়ে থানায় মামলা হলে হারুন মিয়ার স্বাক্ষর সঠিক কিনা তা প্রমানের জন্য ঢাকা সিআইডিতে প্রেরন করা হয়। সিআইডির রিপোর্টে হারুন মিয়ার স্বাক্ষর জাল প্রমাণিত হওয়ায় খবর পেয়ে চেয়ারম্যান রুহেল পূণরায় আরেকটি জাল দলিল তৈরী করে দোকান ঘরটি প্রতারনা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যজনের নিকট বিক্রি করে দেন। হারুন মিয়ার লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে পূণরায় রুহেলের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু এই অভিযোগটি পুলিশ মামলা হিসেবে রেকর্ড না করায় সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিম মুসা বলেন, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের সচীব মনির উদ্দিন বলেন, গত ১০/১২দিন ধরে চেয়ারম্যানের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই। আমার মা মারা গেছেন এ ব্যাপারে এখন আর কিছু বলতে পারবনা। চেয়ারম্যান রুহেলের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।