করোনা পরীক্ষায় প্রতারণার মামলার আসামি আসামি রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ দৈনিক পত্রিকা খুলে তথ্য অধিদফতর থেকে যে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড নিয়েছিলেন, তা বাতিল করেছে সরকার।
রোববার অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের নীতিমালাতেই বলা আছে, যদি কেউ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হাতে ধরা পড়ে তাহলে তার অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল হয়ে যাবে।
‘যেহেতু তিনি প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে আছেন, তাই তার কার্ডটি বাতিল করা হয়েছে।’
‘প্রতারক’ সাহেদ দৈনিক নতুন কাগজ নামের একটি পত্রিকা খুলেছিলেন সম্প্রতি। তিনিই সেই কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক। সে হিসেবেই
তথ্য অধিদফতর থেকে তিনি অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পেয়েছিলেন।
সচিবালয়ে যাদের অফিস, তাদের আইডি কার্ড দেখিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে হয়। এর বাইরে গণমাধ্যমকর্মীদের আলাদা অ্যাক্রেডিটেশন
কার্ড নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে হয়।
গণমাধ্যমকর্মীদের ‘স্থায়ী’ ও ‘অস্থায়ী’- দুই ধরনের কার্ড দেয় তথ্য অধিদফতর। স্থায়ী কার্ডের মেয়াদ থাকে তিন বছর আর এক বছর মেয়াদে
দেয়া হয় অস্থায়ী কার্ড।
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ জানান, সাহেদের নামে অস্থায়ী কার্ড ইস্যু করা ছিল, যার মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় এখন তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা সংগ্রহ করা এবং ভুয়া সনদ দেয়ার অভিযোগ ৬ জুলাই র্যাব রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়।
অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রোগীদের সরিয়ে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়।
৭ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব বাদী হয়ে মো. সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে।
সূত্র:যুগান্তর
প্রতিনিধি