Home » ফাহিম সালেহকে হত্যার আগে বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়

ফাহিম সালেহকে হত্যার আগে বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়

প্রযুক্তি বিষয়ক মিলিয়নিয়ার ফাহিম সালেহকে প্রথমে বৈদ্যুতিক শক (টেসার) দেয়া হয়। এতে তিনি মেঝেতে পড়ে যান। এরপরই অসংখ্যবার কোপ দেয়া হয় তাকে। ময়না তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল। ফাহিম সালেহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। তিনি বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পাঠাও-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। গত সোমবার নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে তার বিলাসবহুল এপার্টমেন্টে নৃশংসভাবে খুন করা হয় তাকে।

খুনি শুধু তাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। ঘাড় থেকে তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে। কাঁধ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দুই হাত। হাঁটুর নিচের দু’পায়ের অংশ কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এসব করতে খুনি ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক করাত। এসবই ঘটে তার এপার্টমেন্টের ভিতরে। ৩৩ বছর বয়সী ফাহিম সালেহ ২২ লাখ ৫০ হাজার ডলারে কিনেছিলেন ম্যানহাটানোর লোয়ার ইস্ট সাইডের একটি এপার্টমেন্ট। গত সোমবার দুপুরের পর পর তিনি সেই বাসায় ফেরেন। এ সময় নিনজা স্টাইলের পোশাক পরা খুনি তার পিছু নেয়। তার সঙ্গেই লিফটে আরোহণ করে। এ সময় খুনির পরনে ছিল একটি স্যুট, টাই, মাস্ক। সঙ্গে ছিল বড় একটি ব্যাগ।

লিফটের দরজা আর ফাহিম সালেহর দরজা মুখোমুখি। ফলে লিফট খুলে সালেহ বেরিয়ে আসেন। তখন তার সঙ্গে খুনিকে কথা বলতে দেখা গেছে। এপার্টমেন্টের দরজা খুলতেই তার ওপর টেসার নিক্ষেপ করে খুনি। এতে সালেহ মেঝেতে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাকে খুনি টেনে নিয়ে যায় তার এপার্টমেন্টে। সেখানেই নৃশংসতা চরিতার্থ করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সালেহ ছিলেন শর্টস ও একটি টি-শার্ট পরা। তিনি মাস্ক পরা ওই ব্যক্তির দিকে সন্দেহের চোখে তাকিয়েছিলেন। তারপরও তিনি কেন ওই লিফট থেকে নামলেন না বা এলার্ম বাজালেন না, তা তদন্ত করে দেখছে কর্তৃপক্ষ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, লিফট সপ্তম তলায় গিয়ে খোলার পর সালেহ ও ওই ব্যক্তির মধ্যে কিছু কথা বিনিময় হয়েছে। এর পরপরই সালেহ তার এপার্টমেন্টে পা রাখেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মেঝেতে পড়ে যান। এ সময় সালেহ ও তার খুনির মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। কিন্তু লিফটের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারপরে কি ঘটেছে তা আর দেখা যায় নি। ফলে ময়না তদন্তে বলা হয়েছে, খুনি স্টান গান ব্যবহার করে সালেহকে অচেতন করেছে। এরপর বুকের ওপর বহুবার কোপ মেরেছে।

সূত্র:বিশ্বজমিন

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *