সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার নারী এসআই (নি:) সাবিকুন নাহার থানায় দায়িত্ব পালন শেষে সিএনজি অটোরিকশা যোগে দক্ষিণ সুরমা থানার মহিলা ব্যারাকে যাওয়ার পথে ছিনতাইয়ের শিকার হন। বুধবার (১৫ জুলাই) রাতে তাকে বহনকারী অটোরিকশাটি কোতোয়ালী থানাধীন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১নং গেইটের সামনে পৌছামাত্র ৪জন ছিনতাইকারী অটোরিকশার গতিরোধ করে।
এসময় ছিনতাইকারীরা ভ্যানেটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টাকালে এসআই সাবিকুন নাহার ও সিএনজি চালক প্রতিবাদ করলে ছিনতাইকারীদের একজন ছোরা দিয়ে সিএনজি চালক জুয়েল আহমদের ডান পায়ের হাটুতে আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সহায়তায় ওই এলাকায় দায়িত্বরত কোতোয়ালি থানার এসআই (নি:) আব্দুল্লাহ আল নোমান অভিযান চালিয়ে প্রথমে দুজনকে গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) ভোরে পুলিশের একটি দল ঘাসিটুলা ও নবাব রোডে অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে।
এসময় ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে ২টি ছোরা ও ছিনতাইকৃত মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নারী এসআই (নি:) সাবিকুন নাহার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে-সুনামগঞ্জ জেলার আফাজ্জল হোসেনের ছেলে আকিনুর ইসলাম আকিন (১৯) ও সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানাধীন ভাটিপাড়া গ্রামের শামীম আহমদের ছেলে নাঈম অঅহমদ (১৯), তারা দুজনই ঘাসিটুলা মাদ্রসা রোডের মোস্তাক মিয়ার কলোনীতে বসবাস করে আসছে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শত্রু মর্ধন পাগলা গ্রামের রনজিত পালের ছেলে রনি পাল (২১), বর্তমানে সে নবাব রোডের ২০৬ বসবাস করছে এবং কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার খয়ারপুর গ্রামের মৃত মনফর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (২২), সে ঘাসিটুলা মাদ্রসা রোডের মোস্তাক হাজীর কলোনীতে বসবাস করে আসছে।
প্রতিনিধি