শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোর:
ব্রিটেনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশীরা বসবাস করেন টাওয়ার হ্যামলেটসে। এ বারার মেয়র ও কাউন্সিলার নির্বাচন আজ ৩ মে। ভোটগ্রহনের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে, ততটাই যেন বাস্তবতার সাথে মিলে যাচ্ছে পুরনো একটি প্রচলিত প্রবাদ। সেটি হল ‘সিলেটীদের প্রতিপক্ষ সিলেটীরাই’।
মেয়র পদে আসন্ন নির্বাচনে তিন বাংলাদেশী বংশোব্দুত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তারা হলেন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী ডা. অানোয়ারা অালী, এস্পায়ার পার্টির ব্যানারে সাবেক ডেপুটি মেয়র অহিদ আহমদ, পিপলস এলায়েন্স অব টাওয়ার হ্যামলেটসের ব্যানারে ব্যানারে রাবিনা খান।
ডা. আনোয়ারা আলীর চিকিৎসক হিসেবে কমিউনিটিতে পরিচিতি রয়েছে। তার বেড়ে উঠাও এ বারায়। অহিদ আহমদকে কমিউনিটির মানুষজন চেনেন একজন সজ্জন, বিনয়ী মানুষ হিসেবে। আর রাবিনা খান গত নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়ে দ্বিতীয় সর্বচ্চো ভোট পেয়ে আলোচনায় আসেন।
বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত এ তিন প্রার্থীই এ বারার সাবেক কাউন্সিলার। আবার তিন প্রার্থীরই গ্রামের বাড়ী সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। এ নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন বর্তমান মেয়র জন বিগস। মেয়র পদে তিন বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত প্রার্থী থাকার কারনে জন বিগস এবারও অনেকটা হেসে-খেলে নির্বাচনী বৈতরনী পার হবেন, এমন ধারণা প্রবাসী ভোটারদের।
উল্লখ্য, এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে সর্বমোট সাত প্রার্থী ও ৪৫ টি কাউন্সিলর পদে ২৫৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। কাউন্সিলর পদে বাংলাদেশী বংশোব্দুত প্রার্থী ১১৩ জন।
২০১০ সালে ব্রিটেনে ইতিহাস সৃষ্টি করে এ বারায় প্রথম নির্বাহী মেয়র নির্বাচিত হন লুতফুর রহমান। ২০১৪ সালে জন বিগসকে হারিয়ে পুনরায় নির্বাচিত হলেও দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের রায়ে মেয়র পদ হারান তিনি। আর মেয়র লুতফুরের বিরুদ্ধে অাদালতে মামলা দায়েরকারীদের অন্যতম ব্যক্তিটিও ছিলেন বাংলাদেশী বংশোব্দুত একজন ব্যবসায়ী।