একবাড়িতে থাকার কারণেই চাচির সাথে প্রেম হয়ে যায় ৩২ বছর বয়সী যুবক গৌতমের। প্রেম মানে না কোনো ব্যখ্যা, কোনো শর্ত কিংবা সূত্র। এক সময় বিষয়টি পরিবার জানতে পারে, কিন্তু চাচির সঙ্গে ভাসুরের ছেলের প্রেম কীভাবে মানবে পরিবার। স্বাভাবিকভাবেই পরিবার মেনে নেয়নি। বাড়িতে শুরু হয় অশান্তি। অবশেষে চাচি ও ভাতিজা এক দঁড়িতে আত্মহত্যা করে। তবে তার আগে তারা বিয়ে করে সিঁদুর পরিয়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের মালবাঁধি জঙ্গল সংলগ্ন গড়বেড়িয়া এলাকায়।
ওই গ্রামের বাসিন্দা মমতা দাস। বছর কয়েক আগে তাঁর বিয়ে হয় আনন্দপুরে। সন্তানও রয়েছে ওই বধূর। সুখেই চলছিল সংসার। কিন্তু আচমকাই ভাতিজা গৌতমের প্রতি দুর্বলতা তৈরি হয় মমতার। চাচির প্রতি আকৃষ্ট হন যুবকও। একবাড়িতে থেকেই তাঁদের মধ্যে শুরু হয় চিঠির আদান-প্রদান।
এদিকে গভীরতা বাড়তে থাকে সম্পর্কের। প্রথমে কেউ না বুঝলেও, একটা সময়ের পর তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রকাশ্যে চলে আসে। তখনই বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবার, সমাজ। শুরু হয় অশান্তি। এরপরই রাগ করে বাপের বাড়িতে চলে যান মমতা। মঙ্গলবারও বাপের বাড়িতে ছিলেন ওই বধূ।
সম্প্রতি আনন্দপুর থেকে গৌতম দাসও চলে যায় প্রেমিকা তথা চাচির সঙ্গে দেখা করতে। দু’জনে একটি সাইকেলে ঘোরাঘুরির পর ঢুকে যায় মালবাঁধির জঙ্গলে। সেখানেই চাচিকে বিয়ে করে গৌতম। এরপরই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন নবদম্পতি।
পরে স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। তাঁরাই লাশ দুটি উদ্ধার করে। জানা গেছে,লাশের কাছ থেকে একাধিক প্রেমপত্র এবং কিছু টাকা পয়সা পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা, আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্যেই তাঁরা নতুন দড়ি নিয়ে জঙ্গলে ঢুকেছিল।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
প্রতিনিধি