স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের কুখ্যাত ইয়াবা সম্রাট তবারক ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতারের পরও ইয়াবা ব্যবসা থেমে থাকেনি। বরং ইয়াবা ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। তবারক বর্তমানে জেল হাজতে থাকলে ও তার স্ত্রী প্রায় মাস দেড়েক পূর্বে জামিনে মুক্তি পেয়ে বিশ্বনাথের নবনির্মিত কোটি টাকার আলিশান ভবনে বসবাস করছেন। তবারক বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পাঠাকইন গ্রামের মৃত আলকাছ মিয়ার পুত্র। তবারকের স্ত্রীর নাম সাবিনা বেগম। স্বামী স্ত্রী জেলে থাকলেও পুরোদমে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তার সিন্ডিকেট। তবারকের স্ত্রী জেল থেকে বের হয়েই স্থানীয় সিন্ডিকেটের সদস্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। তবারকের আস্তাভাজন গাড়ীর ড্রাইভার আজির উদ্দিন সহ চারজনকে ৮১ লাখ টাকা মূল্যের ২৭ হাজার পিচ ইয়াবা ৭টি মোবাইল সেট ও ব্যবহিত একটি নোহা গাড়িসহ আটক করে নরসিংদী গোয়েন্ধা পুলিশ। চারজন গ্রেফতারের খবরে বিশ্বনাথ সহ সমগ্র সিলেটে হৈ ছৈ শুরু হয়ে যায়।
(২৯জুন) সোমবার ভোর রাতে নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম নরশিংদী-ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মোল্লা স্পিনিং মিলস্ সংলগ্ন ভাগদী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে ইয়াবা সুমন উরফে তবারক সিন্ডিকেটের মূল হোতা, বর্তমানে সাবিনার সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পাঠাকইন গ্রামের মৃত জাবেদ আলীর পুত্র মোঃ আজির উদ্দিন (২৭),
ও তার ঘনিষ্ট সহকারী বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের মুফতিরগাও গ্রামের সাইকেল মিকার শানুর আলীর পুত্র মিনার (২১), নোহা গাড়ির ড্রাইভার সিলেটের মোগলা বাজার থানার মাইজ ভাগ গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে মোঃ আজাদ মিয়া (৩৪), অপর সহযোগী শেখ পাড়া গ্রামের
মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে নুমান আহমদ বকুল (৩৪)।
গ্রেফতারকৃতরা ইয়াবা পাচারের জন্য সিলেট থেকে হবিগঞ্জ, বাক্ষণ বাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জের ভৈরব হয়ে নরসিংদী প্রবেশ করছিল। এসময় তারা সাউন্ড বক্সের ভিতর সুকৌশলে ইয়াবা ডুকিয়ে পাচার করতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করে।
নরসিংদী পুলিশ সুপার প্রয়ল কুমার জোয়াদার (পিপিএম,বিপিএম) জানান, এ ঘটনায় নরসিংদী মডেল থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।
This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.