Home » মেসির অনন্য রেকর্ডের দিনে বার্সেলোনা শিবিরে হতাশা

মেসির অনন্য রেকর্ডের দিনে বার্সেলোনা শিবিরে হতাশা

করোনা বিরতির পর লা লিগার মাঠে ফিরেই গেল ১৭ জুন লেগানেসের বিপক্ষে ৬৯৯তম গোল করেছিলেন মেসি। কিন্তু পর পর ৩ টি ম্যাচে (সেভিয়া, অ্যাটলেটিক বিলবাও ও সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে) খেলেও ৭০০তম গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না।

অবশেষে ভক্ত-সমর্থকদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। মঙ্গলবার রাতের ম্যাচে নিজের ৭০০তম গোলটি করলেন বার্সা অধিনায়ক।

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে এ মাইলফলক স্পর্শ করলেন লিওনেল মেসি।

যদিও মেসির এই অনন্য রেকর্ড মন খুলে উদযাপন করতে পারেনি বার্সেলোনা ও ক্লাব সমর্থকরা। মেসি নিজেও তা পারেননি।

কারণ বুধবার রাত বার্সেলোনার জন্য হতাশায় পরিণত করেছে অ্যাটলেটিকো। রিয়াল মাদ্রিদকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠতে দেয়নি বার্সেলোনাকে। ফের ড্রয়ের পুনরাবৃত্তি।

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ২–২ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে কাতালানদের।

যে কারণে আবারও পয়েন্ট খুইয়ে লিগ শিরোপা প্রায় হাতছাড়া করে ফেলেছে কিকে সেতিয়েন শিষ্যরা।

এদিন ম্যাচের ১১ মিনিটের মাথায় আত্মঘাতী গোল করেন কস্তা। এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। এর ৩ মিনিট পরেই ক্যারেসকো দারুন ক্ষীপ্রতায় প্যানাল্টি পায় অ্যাটলেটিকো। আর আত্মঘাতী গোল শোধের মোক্ষম সুযোগটিও হারায় কস্তা। প্যানাল্টি মিস করেন তিনি।

ম্যাচের ১৯ মিনিটের মাথায় বার্সা গোলরক্ষক স্টেগানের ভুলে ফের পেনাল্টি পায় অ্যাটলেটিকো। তবে এবার আর কস্তা নয়, সফল স্পটকিক থেকে সমতায় ফেরান সাউল।
১-১ সমতায় বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই বল নিয়ে অ্যাটলেটিকোর রক্ষণভাগে ঢুকে পড়েন নেলসন সেমেদো। তাকে ফাউল করায় ফের পেনাল্টি পায় বার্সা।

ম্যাচের ৫০তম মিনিটে দারুণ এক পানেনকা শটে বল জালে জড়ান মেসি। পূর্ণ করেন ৭০০টি গোল। তবে মেসি গোল পেলেও জয় পায়নি স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ম্যাচের ৬২ মিনিটে সাউলের পেনাল্টি শট থেকে সমতায় ফেরে সিমওনের শিষ্যরা।

এরপর আর কোনো দল গোলের দেখা পায়নি। ফের পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয় বার্সাকে।

জয় না পেলেও অধিনায়ক মেসির ৭০০তম গোলের রেকর্ড নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে কাতালান সমর্থকদের।

এক নজরে মেসির ৭০০ গোল:

১- আলবাসেত, ২০০৫

১০০- ডায়নামো কিয়েভ, ২০০৯

২০০- রিয়াল মাদ্রিদ, ২০১১

৩০০- রায়ো ভায়েকানো, ২০১২

৪০০- গ্রানাদা, ২০১৪

৫০০- ভ্যালেন্সিয়া, ২০১৬

৬০০- অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ, ২০১৮

৭০০- অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ, ২০২০।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *