ডিজিটাল ডেস্ক:
সুন্দরভাবে সাজানো একটা পরিকল্পনা কিংবা কোনও ঘুরতে যাওয়ার দৃশ্য। কিন্তু চোখ খুললেই সব শেষ। তখনই মনে পড়ে, ওহ, সত্যি নয় ওতো স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ঘুম ভাঙার পর স্বপ্নটা ঠিক কীরকম ছিল, অনেক সময়ই স্পষ্ট মনে পড়ে না। আর বিজ্ঞানের নিয়মে হাজার চেষ্টা করলেও একই দৃশ্য আর দ্বিতীয়বার স্বপ্নে ধরা দেয় না। ভাবুন তো, যদি এই স্বপ্নগুলোকে ইচ্ছে মতো মনে রাখা যেত! যেখান থেকে হয়তো বেরিয়ে আসত ভাল কোনও বিজনেস আইডিয়া কিংবা কোনও শিল্প। বলবেন, এমনটা আবার সম্ভব নাকি? যদি উত্তর হয় হ্যাঁ, বিশ্বাস করবেন? অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় কিন্তু এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। ঘুম ভাঙার পরেও কীভাবে মনে রাখবেন ফেলে আসা স্বপ্নকে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
গবেষকরা বলছেন, মানুষ গড়ে নিজেদের জীবনের ছ’টি বছর স্বপ্ন দেখাতেই অতিবাহিত করে। সেক্ষেত্রে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভিটামিন বি৬ ট্যাবলেট খেলে রাতের স্বপ্ন সকালে উঠে ভালভাবেই মনে রাখতে পারবেন। অনেক সময় এমনটা হয়েই থাকে, স্বপ্ন দেখার সময়ই বুঝতে পারেন যে আপনি স্বপ্নই দেখছেন, এটা বাস্তবে ঘটছে না। এমন স্বপ্নের কিন্তু অনেক উপকার আছে। এক গবেষক বলছেন, যদি আমরা নিজেদের স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তবে তাকে বাস্তবেও আরও ভালভাবে কাজে লাগানো সম্ভব। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, স্বপ্ন মনে রাখলে দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নানা সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়াও সম্ভব। এমনকী কোনও গভীর ট্রমা থেকেও মানুষকে বের করে আনতে পারে স্বপ্ন। তার জন্য নিয়মিত নিজের স্বপ্ন মনে রাখা প্রয়োজন। বাস্তব ও স্বপ্নকে আলাদা করা গেলেই মিটে যাবে সমস্যা।
১০০ জন অস্ট্রেলীয়কে টানা পাঁচদিন ধরে ঘুমের আগে চড়া ডোজের ভিটামিন বি৬ ওষুধ খাইয়ে একটি পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের প্রতিদিন ঘুমের আগে ২৪০ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি৬ দেওয়া হত। প্রথমদিন তা কাজে না এলেও পঞ্চম দিনে ফল মিলেছিল হাতেনাতে। এই ওষুধ কোনওরকম পার্শপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই স্বপ্ন মনে রাখতে সাহায্য করে। তা ঘুমের ব্যাঘাতও ঘটায় না। তবে শুধুই ওষুধ নয়, নানা ধরনের ফল যেমন কলায় এই ভিটামিন রয়েছে। আবার শিম, আলু, শাকজাতীয় খাবারেও রয়েছে ভিটামিন বি৬। এছাড়া দুধ, চিজ, ডিম, রেড মিট, লিভার এবং মাছ নিয়মিত খেলেও শরীরে ভিটামিন বি৬ প্রবেশ করবে। স্বপ্ন যদি সত্যিই মনে রাখার ইচ্ছা হয়, তবে এই টোটকা কাজে লাগিয়েই দেখুন না।
নির্বাহী সম্পাদক