গলওয়ান উপত্যকায় এ বার যুদ্ধবিমান নামাতে শুরু করল ভারতীয় সেনা। দু’দিনের ঝটিকা সফরে গিয়ে লে ও শ্রীনগরের বিমানবাহিনীর ঘাঁটি পরিদর্শন করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন বিমানবাহিনীর প্রধান আর কে এস ভাদুরিয়া। তার পরই শুরু হয়েছে বিমানবাহিনীর এই তৎপরতা। অন্য দিকে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে বিমানবাহিনীকে। যে কোনও রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফরওয়ার্ড বিমানবাহিনীর ঘাঁটিগুলিতে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে বলে সেনা সুত্রে খবর।
সোমবার রাতে গলওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনা সংঘর্ষে ভারতের দিকে এক কর্নেল-সহ ১৯ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই গলওয়ান উপত্যকার পরিস্থিতি তপ্ত। সোমবার রাতের ওই সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায় মঙ্গলবার। প্রথমে ভারতীয় সেনার এক কর্নেল এবং দুই জওয়ানের মৃত্যুর খবর মিললেও মঙ্গলবার রাতের দিকে জানা যায়, চিনা বাহিনীর হামলায় আহত হয়ে দীর্ঘক্ষণ তীব্র ঠান্ডায় পড়ে থাকার কারণে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৭ জন জওয়ানের। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, ভারতের দিকে কয়েক কিলোমিটার ঢুকে এসে অস্থায়ী ভাবে আস্তানা গেড়েছে চিনের সেনা। সোমবার রাতের সংঘর্ষের পর দু’দেশের মধ্যে একাধিক বার মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাতেও চিনা বাহিনী ওই এলাকা ছাড়তে নারাজ। সেনা ও কূটনৈতিক পর্যায়ে বৈঠকের মাধ্যমে সেই জট কাটানোর চেষ্টা যেমন চলছে, একই ভাবে সামরিক প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে।
আর তার পরের দিনই শুরু হল আকাশপথে ভারতের তৎপরতা। এ দিন সকাল থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আকাশে উড়তে দেখা গিয়েছে একাধিক সামরিক হেলিকপ্টার। চিনুক কার্গো হেলিকপ্টার, অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টার, পি-৮ সার্ভেইলেন্স এয়ারক্র্যাফ্ট (নজরদার বিমান) এবং আইএল-৭৬ স্ট্র্যাটেজিক এয়ারলিফ্টার-ও (কার্গো বিমান)। এই হেলিকপ্টারগুলির মাধ্যমে বিপুল সেনা ও রসদ মজুত করা হচ্ছে সেনাবাহিনীর সূত্রে খবর মিলেছে। সেই প্রস্তুতির সঙ্গে এ বার যুদ্ধবিমানও তৈরি রাখল সেনা বাহিনী, যাতে প্রতিপক্ষের দিক থেকে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে, তার মোকাবিলা করা যায়।
বার্তা বিভাগ প্রধান