Home » পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই যখন প্রয়োজন তখন রেড জোন ঘোষণা করা হবে

পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই যখন প্রয়োজন তখন রেড জোন ঘোষণা করা হবে

পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই যখন প্রয়োজন তখন রেড জোন ঘোষণা করা হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সোমবার (১৫ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি সারা বাংলাদেশের রেড জোন চিহ্নিত করে সুপারিশ করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  কেন্দ্রীয় কারিগরি গ্রুপ অব্যাহতভাবে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে এলাকা-ভিত্তিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে এবং অধিকতর বাস্তবমুখী সংজ্ঞা ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়,  নাগরিক সাধারণের জীবন-জীবিকা নির্বাহের বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক সারাদেশে ঘোষিত ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির পর গত ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু করা হয়। কিন্তু, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিমাণ হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১ নং আইন)-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকারের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ১০ জুন ২০২০ কতিপয় নির্দেশাবলী জারি করেন। এই নির্দেশাবলীর উদ্দেশ্য কোভিড-১৯ রোগের চলমান ঝুঁকি বিচেনায় বাংলাদেশের যে কোন ছোট বা বড় এলাকাকে লাল, হলুদ বা সবুজ জোন হিসাবে চিহ্নিত করা এবং তা বাস্তবায়ন করা। জোন ঘোষণার ক্ষমতা আইনানুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনের নিকট অপর্ণ করা হয় এবং বলা হয় তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিভিল প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা ও সশস্ত্র বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় জোনিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়,  জোন সুনির্দিষ্টভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার কোন অংশে কার্যকর হবে এবং এর পরিধি কি হবে তা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্থানীয় কমিটিগুলোকে নির্ধারণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত কৌশল বা গাইড তৈরি করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলোর মধ্যে বিতরণ করেছে। এ ছাড়া জোনের সংজ্ঞা ও বাস্তবায়ন কৌশল সময়ে সময়ে পর্যালোচনা করে পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি কেন্দ্রীয় কারিগরি গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছিল স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জোনিং সিস্টেমের হালনাগাদ সংজ্ঞা ও বাস্তবায়ন কৌশল অনুযায়ী অব্যাহতভাবে স্থানীয় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে এবং জোনিং সিস্টেম চালু করতে হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতামত সাপেক্ষে তা বাস্তবায়ন করবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়,  নির্দেশাবলীতে প্রাথমিকভাবে ৩টি জেলায় (গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী) এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রাজাবাজার (পূর্ব রাজাবাজার) এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ারীতে পরীক্ষামূলকভাবে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ এবং নরসিংদী জেলার নির্বাচিত এলাকায় এবং ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারে পরীক্ষামূলক জোনিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। ঢাকার ওয়ারিতে জোনিং সিস্টেম চালুর জন্য সুনির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। এই পরীক্ষামূলক জোনিং সিস্টেমের অভিজ্ঞতা দেশের অন্যান্য এলাকায় জোনিং সিস্টেম চালু বা পরিবর্তনের বিষয়ে সহায়ক হবে। দেশের বিভিন্ন জেলা ও সিটি করপোরেশনও বর্ণিত কৌশল ও গাইড অনুসারে স্থানীয় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। সেই অনুযায়ী তারা প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নপূর্বক স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতামত অনুযায়ী জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *