সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মোগলাবাজার থানা পুলিশ কর্তৃক পাথর ব্যবসায়ী আবুল কালামের লাশ গুমের চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করেন গত ১০/০৬/২০২০খ্রিঃ তারিখে মোগলাবাজার থানাধীন সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ-মৌলভীবাজার মহাসড়কের ষাটঘর এলাকার রাস্তার পাশে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তির লাশ মোগলাবাজার থানা পুলিশ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় সনাক্তের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রচার করিলে মৃতের আত্মীয়-স্বজন উক্ত লাশ আবুল @ আবুল কালাম, পিতা-মৃত মোঃ ছোবান মিয়া, সাং-কান্দুবস্তি, জাফলং, থানা-গোয়াইনঘাট, জেলা-সিলেট বলিয়া সনাক্ত করেন। গত ১২/০৬/২০২০খ্রিঃ তারিখে লাশের পোষ্ট মর্টেম শেষে দাফনের জন্য আত্মীয়-স্বজনের নিকট হস্তান্তর করেন। লাশ দাফন শেষে গত ১৩/০৬/২০২০খ্রিঃ তারিখে মৃতের স্ত্রী মোছাঃ সালেহা বেগম মোগলাবাজার থানায় এসে এজাহার দায়ের করেন। বাদীর এজাহারের প্রেক্ষিতে মোগলাবাজার থানার মামলা নং-০৮, তারিখ-১৩/০৬/২০২০খ্রিঃ ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। মামলা রুজুর পর পরই জনাব পলাশ রঞ্জন দে, সহকারী পুলিশ কমিশনার, মোগলাবাজার থানা, এসএমপি, সিলেট এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ মোগলাবাজার থানা জনাব আখতার হোসেন, তদন্তকারী অফিসার এসআই/দীপন চন্দ্র সরকার, এসআই/রাজীব কুমার রায়, এসআই/পলাশ কানু মামলার রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় জড়িত অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীদের গ্রেফতারের অভিযানে নামেন। এক পর্যায়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিলেট কোতোয়ালী থানাধীন সুরমা মার্কেটস্থ নিউ সুরমা হোটেল হতে হোটেল কর্মচারী ১। খলিলুর রহমান (২১), পিতা-মৃত শাফা মিয়া, সাং-বাদে ওবাহাটা, থানা-কমলগঞ্জ, জেলা-মৌলভীবাজার, ২। আজিজুর রহমান (৩৫), পিতা-আব্দুল খালেক, সাং-চান্দুঘাট, থানা-কাউনিয়া, জেলা-রংপুরদ্বয়কে গত ১৩/০৬/২০২০খ্রিঃ তারিখে গ্রেফতার করেন । জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদ্বয় স্বীকার করে যে, পাথর ব্যবসায়ী আবুল @ আবুল কালাম রাত্রীযাপনের জন্য তার পূর্ব পরিচিত খলিলুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করে গত ১০/০৬/২০২০খ্রিঃ তারিখে রাতের বেলা উক্ত হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। রাতে তার প্রাণহানি ঘটলে হোটেলের মালিক কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারী পরস্পর যোগসাজেশে প্রাণহানির ঘটনা ধামাচাপা ও লাশ গোপন করার জন্য রাতের অন্ধকারে লাশ সিএনজি অটোরিক্সা করে অত্র মামলার ঘটনাস্থল মোগলাবাজার থানাধীন সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ষাটঘর নামক এলাকায় ফেলে চলে যায়। উক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় গত ১৪/০৬/২০২০খ্রিঃ তারিখে বিজ্ঞ মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্বেচ্ছায় তাদের জবানবন্দি প্রদান করে।
This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.