সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র অভিযানে বিপুল পরিমান (৪১২ বোতল) ফেনসিডিল ও প্রাইভেটকারসহ ০২(দুই) জন মাদক ব্যবসায়ি আটক।
অদ্য ০৯/০৬/২০২০খ্রিঃ রাত অনুমান ০২:৪৫ ঘটিকায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জনাব শিবেন বিশ্বাসের নেতেৃত্বে এসআই/মাহবুবুর আলম মন্ডল, এসআই/মোঃ রফিকুল ইসলাম, এএসআই/ভূলন চন্দ্র দেব এবং অন্যান্য ফোর্সসহ সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের টহলরত টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহপরাণ (রহঃ) থানাধীন বহর আল বারাকা আবাসিক এলাকার জনৈক শিবলু আহমদ এর বাড়ীর সম্মুখস্থ গাড়ী পার্কিং এর স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৪১২ (চারশত বার) বোতল ফেনসিডিল ও ফেনসিডিল পরিবহনে ব্যবহৃত ০২টি প্রাইভেটকারসহ আসামী ১। মোঃ জালাল আহমদ (৩২), পিতা- মৃত কলমদর আলী, মাতা- শহিদা বেগম, সাং- নরসিংহপুর, ইউ/পি খলাছড়া, থানা- জকিগঞ্জ, জেলা- সিলেট, বর্তমানে- নেছাড়াবাদ হাউজিং, মংলিরপাড়, থানা- এয়ারপোর্ট, জেলা- সিলেট, ২। মোঃ কালাম (৪২), পিতা- মৃত সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, মাতা- নূরবি বিবি, সাং- বহর পশ্চিম, থানা- শাহপরাণ (রহঃ), জেলা- সিলেট দ্বয়কে আটক করেন। আটককালে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উক্ত ফেনসিডিলগুলি ১নং আসামী মোঃ জালাল আহমদ এর তত্বাবধানে তার গাড়ীর ড্রাইভার সবুজ (৪০) ও ২নং আসামী মোঃ কালাম (৪২)-দ্বয়ের সহযোগীতায় সিলেট জেলার জকিগঞ্জ ভারতীয় সিমান্তবর্তী এলাকা হতে বিশেষ কৌশলে প্রাইভেটকার যোগে সিলেট শহরের ঘটনাস্থল গ্যারেজে নিয়ে আসা হয়। অতঃপর ফেনসিডিলগুলি সিলেট কাজলশাহ এলাকার জণৈক মাদক ব্যবসায়ি শাহিন সহ সিলেট শহরের বিভিন্ন এলাকার মাদক সেবীদের নিকট বিক্রি করার উদ্দেশ্যে মজুদ করে রেখেছিল। গাড়ীর ড্রাইভার সবুজ ডিবি পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে রাতের আধারে কৌশলে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। আসামী জালাল আহমদ পেশাগত একজন মাদক ব্যবসায়ি। তার বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং- ১২ তারিখ ১০/০৭/২০১৫খ্রিঃ ধারা- ১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর টেবিল ৮(খ) বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। ঘটনায় জড়িত গাড়ীর ড্রাইভার সবুজ ও শাহিনকে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলের আনুমানিক মূল্য (১৫০০*৪১২) = ৬,১৮,০০০/- (ছয় লক্ষ আঠার হাজার) টাকা এবং গাড়ী সহ উদ্ধারকৃত মাদকের সর্বমোট মূল্য অনুমান (৬,০০,০০০ + ৬,১৮,০০০) = ১২,১৮০০০/- (বার লক্ষ আঠার হাজার) টাকা। উক্ত ঘটনায় এসআই/ মাহাবুর আলম মন্ডল বাদী হয়ে শাহপরাণ (রহঃ) থানায় এজাহার দায়ের করলে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয় এবং আসামীদের বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। ঘটনায় জড়িত অপর আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।