Home » সিলেট করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে

সিলেট করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে

গত শনিবার সিলেট বিভাগকে করোনার ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই ‘রেড জোন’র ঘোষণার ষোলকলা পূর্ণ করতেই যেন উঠেপড়ে লেগেছে করোনা। গতকাল সোমবার (৮জুন) একদিনে সিলেট বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮২ জন।

অপরদিকে, সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা কেড়ে নিয়েছে আরো ২ জনের প্রাণ। এই দু’জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে সিলেট বিভাগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৭-এ। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২৮, সুনামগঞ্জে ৩, হবিগঞ্জে ২ ও মৌলভীবাজারে ৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৭ জন সিলেট জেলার ও ২৫ জন সুনামগঞ্জের বাসিন্দা। গতকাল সোমবার (৮ জুন) সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষায় এ ৮২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।

বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার (৯ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬২৮। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৯৩৯, সুনামগঞ্জে ৩২৯, হবিগঞ্জে ২০৮ ও মৌলভীবাজার জেলায় ১৫২ জন।

সিলেট অঞ্চলে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আজ পর্যন্ত ভর্তি আছেন মোট ১৬৪ জন। এর মধ্যে সিলেটে ৪১, সুনামগঞ্জে ৯৮, হবিগঞ্জে ২০ ও মৌলভীবাজারে ৫ জন।

এদিকে, সিলেট বিভাগে করোনামুক্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ১৯ জন। এর মধ্যে সিলেটে ১৩ ও হবিগঞ্জে ৬ জন। আর এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৪০৬। এর মধ্যে সিলেটে ১২৮, সুনামগঞ্জে ৮১, হবিগঞ্জে ১৩৫ ও মৌলভীবাজারে ৬২ জন।

বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ১০/৩/২০২০ ইংরেজি তারিখ হতে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে ১৩৬৭০ জনকে এবং কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ১২১৬২ জনকে। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করছেন ১৫০৭ জন। এর মধ্যে সিলেটে ৬৫০, সুনামগঞ্জে ৪৪০, হবিগঞ্জে ১০৮ ও মৌলভীবাজারে ৩০৯ জন।

এ পর্যন্ত হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনরত আছেন বিভাগের ২৫৭ জন। এর মধ্যে সিলেটে ৭৯, সুনামগঞ্জে ৩৩, হবিগঞ্জে ১২২ ও মৌলভীবাজারে ২৩ জন। তারা সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসাধীন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *