দীর্ঘ এক মাসেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় অবশেষে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও চিনের লেফট্যানেন্ট জেনারেল। আর তারপরই সমঝোতার বার্তা দিচ্ছে চিন। চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, যে তারা ভারতের সঙ্গে বৈরিতা চায় না।
চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিং সোমবার জানিয়েছেন, লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। চিন ভারতের সঙ্গে কোনোরকম বৈষম্য চায় না। বিদেশ মন্ত্রকের সেই বার্তা ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ভারতে চিনের রাষ্ট্রদূত সান উইডং।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত ইস্যু নিয়ে কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনা হয়েছে। কোনও বৈরিতা না করে চিন ভারতের সঙ্গে শান্তি বজায় রেখে কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছেন হুয়া চুনিং। তিনি আরও বলেন, ‘ভারত ও চিনের সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণে আছে। চিন ও ভারতের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করার আগ্রহ আছে।’
এদিকে, সোমবারই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের।
শনিবার সীমান্ত নিয়ে আলোচনা করতে দুই দেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক হয়। চিন সীমান্তের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে মালদোর বর্ডার মিটিং পয়েন্টে হয় বৈঠক। জানা গিয়েছে সংঘাত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগে চিনের সেনাবাহিনী, যে অবস্থানে ছিল ফের সেই অবস্থানে ফিরে যেতে বলেছে ভারত। আর ভারতকে রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করতে বলেছে চিন।
এই বৈঠকে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। তিনি ১৪ কর্পসের কমান্ডার। অন্যদিকে টিবেট মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের কমান্ডার ছিলেন চিনা প্রতিনিধি হিসেবে। এই প্রথম উচ্চপর্যায়ের সামরিক বৈঠক হল দুদেশের মধ্যে। ভারত চিন সীমান্তের ৭০ বছর পূর্তির কথা মাথায় রেখে দ্বিপাক্ষিক সামরিক সম্পর্ক মেরামত করার কাজে সম্মত হয়েছে দুদেশ।
লাদাখ ও সিকিম সীমান্তে যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, তা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মিটিয়ে ফেলা হয়েছে বলে দুই দেশই জানিয়েছে। আপাতত সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের পক্ষ থেকে সীমান্তে রুটিন মহড়া চালানো হয়েছে। তেমনই সাধারণ নজরদারি চলেছে চিনের পক্ষ থেকেও।
নির্বাহী সম্পাদক