Home » জৈন্তাপুরে ধর্ষণ মামলার আসামী ইউপি সদস্য সন্দইকে গ্রেফতার দাবি

জৈন্তাপুরে ধর্ষণ মামলার আসামী ইউপি সদস্য সন্দইকে গ্রেফতার দাবি

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামপুঞ্জিতে পাত্র সম্প্রদায়ের এক তরুনীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামী, ইউপি সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাশিম সন্দই এর গ্রেফতার ও ন্যায় বিচার দাবি জানিয়েছেন পুঞ্জিবাসীসহ সনাতন ধর্মালম্বী নেতৃবৃন্দ।

সোমবার উপজেলার মোকামপুঞ্জি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তারা এ দাবি জানান। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ ও পুজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠিত সভায় নেতৃবৃন্দ জানান, মামলার পর পুলিশ ২ নং জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য, আলু বাগান গ্রামের সৈয়দ আব্দুল হাশিম সন্দই এর ছেলে ধর্ষক নাজিম উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেতার করে। মামলার ২ নং আসামী ধর্ষকের পিতা সন্দই মেম্বার এখনো গ্রেফতার হয়নি।

ন্যায় বিচারের স্বার্থে তাকে গ্রেতারের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, হুমকী-দমকী দিয়ে কাজ হবে না। নৃতাত্তিক জণগোষ্টির ওই নারীর নির্যাতনকারী নাজিম ও তার পিতার শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা নির্যাতিত পরিবরের পাশে থাকব।

পুজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নৃপেদ্র কুমার দাসের সভাপতিত্বে সভায় নির্যাতিতার মা ছাড়াও বক্তব্য দেন, পরিষদের সাবেক সভাপতি সুনীল দেবনাথ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুলাল চৌধুরী, পুজা পরিষদের সহ সভাপতি সংকর দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল মনি দত্ত, কেন্দ্রী পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দেবেন্দ্র বিশ্বাস ধন, ইউনিয়ন পুজা পরিষদের সভাপতি নির্মল দেবনাথ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন সময়ে নাজিম উদ্দিন পুঞ্জির পাত্র সম্প্রদায়ের ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে সে গর্তবর্তী হয়ে পড়ে। বিষয়টি প্রথমদিকে স্থানীয়ভাবে সমঝোতার চেষ্টা করা হয় বলে জানা গেছে। পরে নির্যাতিতা বাদি হয়ে গত ১১ মে জৈন্তাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও সহায়তার অভিযোগে মামলা (নং-৯(৫)২০) করেন। মামলার পরই পুলিশ ধর্ষক নাজিমকে গ্রেফতার করে। থানার ওসি শ্যামল বনিক জানিয়েছে, আসামী এখনো কারাগারে আছে। অপর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *