সিএনএন জানিয়েছে, মিনিয়াপলিসের বিক্ষোভে অংশ নেয় কয়েক হাজার আন্দোলনকারী। তাদের অনেককে সংলগ্ন বিভিন্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নিতে দেখা যায়। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টা নাগাদও বিক্ষোভ শান্ত হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।
সিএনএন-এর সাংবাদিক সারা সিডনার জানান, একদিকে থানার ভেতরে ফায়ার অ্যালার্ম বেজে চলছে। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা উল্লাস করছে। পুলিশের বেষ্টনী ঘিরে লোকজন আতশবাজি করছে। তবে কোনও সাইরেনের শব্দ পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিনির্বাপনকর্মীদের কোনও তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়নি।
ঘটনাস্থল থেকে সিএনএন-এর প্রতিবেদক জোশ ক্যাম্পবেল বলেন, পুলিশ হিসাব কষেই বলপ্রয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা হয়তো এ কারণে যে, পুলিশ জানে তাদের উপস্থিতি উত্তেজনার পারদ আরও বাড়িয়ে তুলবে। এতে করে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়বে।
জোশ ক্যাম্পবেল বলেন, এটি একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি। আমার মনে হয় পুলিশও সেটা অনুধাবন করছে।
২০২০ সালের ২৫ মে পুলিশ জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে খুন করলে এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে আন্দোলন তীব্রতা পায়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য। নিহত ব্যক্তি নিরস্ত্র ছিলেন। ভিডিওতে নিঃশ্বাস নিতে না পেরে তাকে কাতরাতে দেখা যায়। তিনি বারবার শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারকে বলছিলেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’
কৃষ্ণাঙ্গদের দাবি, বর্ণবিদ্বেষের বলি হয়েছেন জর্জ ফ্লয়েড। এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রথমে স্থানীয়রা রাস্তায় নামলেও পরে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঢল নামে।
জর্জ ফ্লয়েডের সঙ্গে যা ঘটেছে তাকে আপত্তিকর হিসেবে উল্লেখ করেছেন মিনেসোটর সেন্ট পল এলাকার মেয়র মেলভিন কার্টার। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভকে ‘বোধগম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
বার্তা বিভাগ প্রধান