প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮ এর প্যানেল প্রত্যাশী সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রত্যাশীরা ৩৭ হাজার মেধাবী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থী প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ চাই।
আমরা প্যানেল প্রত্যাশী-২০১৮ এর আয়োজনে- “তিন দিনে একদিন, জমা পানি ফেলে দিন”-এই স্লোগানকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জ হতে শুরু করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এডিস মশক নিধন ও ডেঙ্গু সচেতনতা কর্মসূচি পালন করেছি।
আমাদের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় যেমন- কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও ইত্যাদি আরো অনেক জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে হতদরিদ্র শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
৩৭ হাজার প্যানেল প্রত্যাশী সংগঠন পরিবারের অঙ্গীকার, আমরা প্যানেলে নিয়োগ পেলে পরবর্তী সময়ে নিজ নিজ উপজেলায়, নিজ উদ্যোগে জীবিকার তাগিদে শিক্ষা হতে ও প্রাথমিক অক্ষরজ্ঞান বঞ্চিত অসহায় ও কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার আওতায় এনে সন্ধ্যাকালীন শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে এবং বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ দেয়া হবে। প্রতি বছরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে শিশুদের প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ও সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা করে যাব। শিশু শিক্ষার্থীদের বই পাঠে উৎসাহ জাগাতে পাঠ্যবই সহ অন্যান্য বই (যেমন – মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, বিজ্ঞান বিষয়ক) পাঠে আগ্রহী করতে প্রতি মাসে অন্তত একদিন করে নির্ধারিত শ্রেণিকার্য বাদে নির্দিষ্ট সময়ে আলোচনা ক্লাসের আয়োজন করব। আমাদের ৩৭ হাজার সদস্যের সংগঠনটি প্যানেলে নিয়োগের জন্য, নিজেদের লক্ষ্য ও দাবি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের কার্যক্রম ও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে আমরা দেশ ও দশের প্রয়োজনে, সংকটে ও দুর্যোগে যেকোনো সমাজ সেবামূলক কাজ করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকব।
প্রাথমিক শিক্ষক সংকট দূরীকরণে করোনা পরবর্তী সময়ে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং প্রাথমিক শিক্ষার গতিকে ত্বরান্বিত করতে আমরা ৩৭হাজার প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীতভাবে আবেদন জানাই তিনি যেন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে প্রাথমিকে শিক্ষক সংকট দূরীকরণের জন্য আমাদের প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ করেন।
প্যানেল চাওয়ার যৌক্তিক কারণ সমূহ :
১) প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চরম শিক্ষক সংকট বিদ্যমান।
২) করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে।
৩) করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষক সংকট কাটিয়ে উঠতে প্যানেল একান্ত আবশ্যক।
৪) বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে শিক্ষক সংকট দূরীকরণের জন্য প্যানেলই হচ্ছে উত্তম পন্থা।
৫) নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শূন্যপদ পূরণের চেয়ে পূর্বের থেকে আরও বেশি পদ শূন্যই থেকেই যায়।
৬) এইবার প্রথম ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্য হতে আমরা ৫৫ হাজার লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি।যা পাশের হার ছিল ২.৩%, তাই আমারা অবশ্যই মেধাবী তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
লেখক : শিউলি
সহকারী মহিলা বিষয়ক সম্পাদক
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮ প্যানেল প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটি।