এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে করোনা আক্রান্ত এক নাগরিককে ঢাকা থেকে ফিরিয়ে নিল তুরস্ক। ঢাকাস্থ তুরস্ক দূতাবাস তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ নাগরিককে ফিরিয়ে নেয়ার ভিডিও ও ছবি শেয়ার করেছে। এছাড়া তার্কিস এয়ারলাইন্সের কমিনিউকেশন অ্যান্ড ট্রাফিক অফিসার এজাজ কাদরি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন৷ করোনা আক্রান্ত নারীর সঙ্গে তার স্বামী এবং তিন বছরের জমজ দুই কন্যা হুমা এবং জিয়াদ রয়েছে। ঘটনা সূত্রপাত হয় আয়শে দিপচিন নামে এক টুইটার ব্যবহারকারীর একটি টুইটের মাধ্যমে। ১৪ মে তিনি একটি টুইট করেন। যেখানে দিপচিন বলেন, বাংলাদেশে বসবাসকারী তার বড় বোন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এর আগে তার শ্বশুর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তিনি বলেন, আমার বোন ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও ওখানে কোনও চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এমনকি তার টেস্টও করানো যাচ্ছে না। তার তিন বছরের দুই যমজ সন্তানও রয়েছে।
আমরা চাই তাদের তুরস্কে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেয়া হোক। সাথে তিনি বোনের সাথে মেসেজের কথোপকথনের স্ক্রিন শট এবং তার বোনের পরিবারের ছবি শেয়ার করেন।
ঢাকায় অবস্থিত তুরস্ক দূতাবাসের নজরে পড়ে এ টুইটটি। ওই তুর্কি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে এয়ার এম্বুলেন্স চায়।
ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান নিজেই পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেন। আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করেন।
রবিবার সকালে তুরস্কের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ওই পরিবারটিকে নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয়। রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান এসময় বিমানবন্দরে পরিবারটিকে বিদায় জানান।
এর আগেও তুরস্ক সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে করোনা আক্রান্ত নাগরিদের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান