চীনে প্রথমবারের মতো কেউ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। দেশটিতে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর এই প্রথম কারো শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েনি। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
বেইজিংয়ের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, চীনের মূল খণ্ডে মাত্র দু’জন রোগী সন্দেহের তালিকায় আছেন। এদের একজন সাংহাইতে এবং অন্যজন উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জিলিয়ান প্রদেশের।
চীনের মূল ভূখণ্ডে ২২ মে নতুন করে কারো দেহে করোনা শনাক্ত হয়নি। ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বলছে, ২১ তারিখের হিসাব অনুযায়ী, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছিল চারজন। অর্থাৎ ২১ মের পর নতুন করে আর কারো আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, উপসর্গবিহীন রোগীর সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। নতুন করে উপসর্গবিহীন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৮ জন। একদিন আগেই এই সংখ্যা ছিল ৩৫।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৯৭১ জনেই অবস্থান করছে। অপরদিকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৪ জনের।
গত ৩১ ডিেসম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই প্রথম প্রাণঘাতী করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। চীনে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে গত কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় চীন ইতোমধ্যেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। দেশটিতে নতুন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যতে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে, এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের জন্য তৈরি চীনের একটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজ আরও এগিয়ে গেছে।
১০৮ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে ওই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ভালো ফল দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ওই স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে এই ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
চীনা প্রতিষ্ঠান ক্যানসিনো এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়। যেসব স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগের দেহেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। যদিও তাদের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্ডিবডির মাত্রা ছিল কিছুটা কম।
মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানচেটে ওই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে তাদের ভ্যাকসিন সহনীয় হয়ে উঠেছে এবং নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক