করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া বগুড়ার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা-বিষয়ক সম্পাদক কামরুন্নাহার পুতুল (৬৫) করোনা আক্রান্ত ছিলেন। করোনার উপসর্গ থাকায় বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাত সোয়া ১১টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগের দিন তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শুক্রবার (২২ মে) দুপুরে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া রিপোর্টে এমপি পুতুল এবং তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে।
বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী এবং ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন এসব তথ্য জানান। তারা জানান, বগুড়ায় এই প্রথম কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। পুতুলের পরিবারের সদ্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে এবং বাড়ি লকডাউন করা হবে।
স্থানীরা জানান, শুক্রবার বিকালে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, বগুড়ার সদস্যরা জানাজা শেষে শহরের নামাজগড় আঞ্জুমান-ই-গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করেছেন। এ সময় তার পরিবারের সদস্য, দলীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু এবং পুতুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, পুতুল কয়েকদিন আগে ঢাকায় তার অসুস্থ ছেলেকে দেখতে গিয়েছিলেন। ফিরে আসার পর অসুস্থ বোধ করেন। কয়েকদিন ধরে জ্বর, পাতলা পায়খানা ও খাবারে অরুচি-জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। করোনাভাইরাস উপসর্গ হিসেবে ২০ মে বুধবার তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শহরের কালীতলার বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত সোয়া ১১টার দিকে তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বগুড়ার অর্গানাইজার মিজানুর রহমান জানান, সাবেক এমপি কামরুন্নাহার পুতুল করোনাভাইরাসে মারা গেছেন। আইইডিসিআরের নির্দেশ মোতাবেক বিকালে শহরের কালীতলা এলাকায় সীমিত কয়েকজন মুসল্লি নিয়ে জানাজা করা হয়। জানাজায় বগুড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আমিনুল ফরিদ এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের দায়িত্বশীলরা অংশ নেন। বেলা ৩টার পর কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ৯ স্বেচ্ছাসেবক শহরের নামাজগড় আঞ্জুমান-ই-গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান